বৈষ্ণিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আর্কটিক মহাসাগরের বরফ গলে যাচ্ছে। এ উষ্ণতা বৃদ্ধি বিশ্বের জন্য হুমকি হলেও আর্কটিক এর আশেপাশের দেশ বেশ উপকৃত হবে। তবে বড় দেশ হওয়ার সুবাধে সবথেকে বেশি লাভবান হতে পারে রাশিয়া।
আর্কটকের ২৪,১৪০ কিলোমিটার উপকূল রেখা রাশিয়ার মধ্যেই পড়েছে। আর্কটিকের একটি বড় অংশের মালিকানা রাশিয়ার হাতেই রয়েছে। কাজেই আর্কটিকের মূল্যবান সম্পদের উপর থাকবে রাশিয়ার আধিপত্য।
তবে আর্কটিক প্রসঙ্গে রাশিয়ার সাথে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের বিরোধ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্কের কথা বলা যেতে পারে।
আর্কটিকের বিশাল তেল ও গ্যাস সম্পদের উপর রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এ মূল্যবান সম্পদকে কেন্দ্র করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ করছে দেশটি।
আর্কটিকের উত্তরের দেশ বিশেষ করে রাশিয়া ঐ অঞ্চলের তেল ও গ্যাস বাদ দিয়েও মূল্যবান ধাতু ও খনিজ পদার্থের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। উদাহরণ হিসেবে নিকেল, প্লাটিনাম, প্যালাডিয়াম এবং বিরল মৃত্তিকা ধাতুর বিশাল ভান্ডারের কথা বলা যেতে পারে।
আর্কটিক মহাসাগর মূল্যবান মৎস্য সম্পদ দিয়ে পরিপূর্ণ। রাশিয়ার আর্কটিক উপকূলে বৈচিত্রময় মৎস্য সম্পদের উপস্থিতি রয়েছে। আর্কটিকের বরফ পুরোপুরি গলে গেলে বিশাল সম্পদ ভোগ করতে পারবে রাশিয়া।
ভবিষ্যতে নর্দান সী রুটই হতে পারে ইউরোপ থেকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাণিজ্যের প্রধান পথ। এ রুট এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হবে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে। এখানে রাশিয়াই সবথেকে বেশি উপকৃত হবে।
বর্তমানে নর্দান সী রুট বছরে ছয় মাস জাহাজ চলাচলের উপযোগী থাকে। রাশিয়া বর্তামানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর উপর নির্ভর করে। এ সী রুট ফিউচারে রাশিয়ার জন্য সম্ভাবনাময় হবে। আর্কটিকের উপর দিয়েই এ সী রুট অবস্থিত। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যৎ এ আরও সমৃদ্ধ হবে রাশিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।