জুমবাংলা ডেস্ক : বোমাসদৃশ বস্তু বহনকারী মোটরসাইকেলটির মালিক ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চয়ন নাইডুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দায়িত্বরত এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় অবস্থান এবং মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ বস্তু রাখা হলেও বিষয়টি তিনি বুঝতে না পারার কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ বস্তু রেখে দেওয়া হলেও তার বুঝতে না পারা এবং দায়িত্বরত এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় অবস্থান করার কারণেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। ’
তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেলে ‘গ্রিন্ডিং মেশিন’ রাখার ঘটনাটি ট্রাফিক বিভাগ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। এর বাইরে কিছু নয়। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তে দায়িত্ব অবহেলা প্রমাণিত হলে তাকে বিভাগীয় শাস্তি পেতে হবে। ’
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরের চৌহাট্টায় ট্রাফিক পয়েন্টে মোটরসাইকেল রেখে চশমার দোকানে যান সার্জেন্ট চয়ন নাইডু। দোকান থেকে ফিরে মোটরসাইকেলে রাখা ‘বোমাসদৃশ’ গ্রিন্ডিং মেশিন দেখতে পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। ঘটনাটি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। রাতভর পুলিশ ও সিআরটি সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন। এক পর্যায়ে র্যাব-পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঝুঁকি না নিয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চায়।
পরদিন বিকেলে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল গ্রিন্ডিং মেশিনটি উদ্ধার করে। পরে বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাহাত সাংবাদিকদের জানান, ভুলবশত কিংবা কেউ আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে যন্ত্রটি রেখে যেতে পারে। এতে মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ বস্তু ঘিরে আতঙ্কের ২১ ঘণ্টার অবসান হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।