স্পোর্টস ডেস্ক : দলের টানা ব্যর্থতায় টাইগার হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর গদি টেকানো নিয়েই সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেও বাকি দুই ফরম্যাটের নাটাই তার হাতেই রেখে দেয় বিসিবি। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এ কোচ।
তবে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বোর্ড নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন ডমিঙ্গো। যেখানে তিনি বলেছেন, বিসিবির কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের কারণে টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি তিনি। হেড কোচের এমন মন্তব্যে খেপেছে বোর্ড। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যানের কথায় আভাস পাওয়া গেছে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠানো হতে পারে তাকে।
ডমিঙ্গো বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা খারাপ পারফরম্যান্স করলে তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি করার জন্য বোর্ডের তরফ থেকে বলে দেয়া হতো, যা তার কোচিং দর্শনে একেবারেই নেই। এ ছাড়া বোর্ডের বিভিন্ন কর্তার মন্তব্যের কারণে তিনি নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারতেন না বলেও জানান ডমিঙ্গো।
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে খুব একটা লাভ হয় না। যখন ওরা ভুল করে, তখন বাজেভাবে সমালোচনা করলে ক্রিকেটারদের সেরাটা পাওয়া যাবে না। আমি এটা করতে চাইনি।’
ডমিঙ্গোর এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খেপে গেছে বোর্ড। বুধবার (২৪ আগস্ট) সময় সংবাদকে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস বলেন, ‘বিষয়টা আগে আমরা খতিয়ে দেখি এবং এটা নিয়ে আমার কাছে মনে হয়, বোর্ড থেকে তার কাছে একটা চিঠি যাওয়া উচিত যে, বক্তব্যগুলোতে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। যদি আমাদের পরিষ্কার করে, তাহলে আমরা বুঝতে পারব কোথায় সমস্যা হচ্ছে।’
ডমিঙ্গো যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি। এ সম্পর্কে জালাল ইউনুস জানান, ‘ডমিঙ্গোর সঙ্গে আগে আলাপ করি। পরবর্তী সময়ে আমাদের অ্যাকশনটা কী হবে, সেটা আপনাদের জানাতে পারব। এ জন্য বিষয়টা আমাদের পরিষ্কার হতে হবে। প্লেয়ারদের সঙ্গে কাদের বেশি কথা হয়, সেটা তো পরিষ্কার। যখন দল কোনো সফরে যায়, তখন সেখানে হেড কোচ থাকে, টিম ডিরেক্টর থাকেন, সাপোর্ট স্টাফরাও থাকেন।’
সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলোর ব্যাপারেও আপত্তি জানিয়েছেন জালাল। তিনি বলেন, ‘যে ভাষা এখানে ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন ধমক দেয়া হয়, এটা আপত্তিকর। প্লেয়ারকে ধমক দিয়ে কথা বলা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের কোনো কিছু বোঝানোর ব্যাপার হলে সেটা আলাদা ইস্যু। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের বাইরের কেউ সরাসরি কথা বলতে পারে না। এই এখতিয়ার তাদের নেই।’
ডমিঙ্গো কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙেছেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। যদি তা-ই হয়, তবে এবার কী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ কোচের জন্য? জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমি এসব বিষয় বিসিবি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি। ডমিঙ্গো তো কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙেছে। এ ধরনের কথা সে বলতে পারে না। কারণ, ডমিঙ্গো আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোচ। সে এখানে কতগুলো অভিযোগ দিয়েছে। এগুলো আমাদের জানতে হবে। হুট করে আমি সিদ্ধান্ত দিতে পারব না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।