জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের তফসিলি ব্যাংকে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি সুবিধা পাবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ সোমবার (১৫ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে, সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ব্যাংকখাতে অধিকতর শৃঙ্খলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকে কর্মরত নিয়মিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ তাদের নিয়মিত চাকুরিকাল সমাপ্ত করার পর ব্যাংকের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্যতা নির্ধারণে এখন থেকে উপরোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে’।
‘অভিযোগ পাওয়া গেছে, কিছু ব্যাংক কতিপয় ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিত চাকুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, তাদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত করে। তাদেরকে নিয়মিত চাকুরিকালীন জমাকৃত পূর্বের প্রভিডেন্ট ফান্ডের উপর সুদ হিসাবায়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে’।
এছাড়া চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকুরির সময়ের সাথে যোগ করে সর্বমোট চাকুরির মেয়াদ গণনাপূর্বক তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্র্যাচুইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে; যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয় বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তারা এসব সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
একইসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী নতুন করে কোনো গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
এরআগে ২০১৮ এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের মধ্যে বয়সসীমার অসমতা দূরীকরণার্থে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের বয়সসীমা ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বছরে নির্ধারণ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।