জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় এলাকায় বুধবার দুপুরে প্রাইম ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ম্যানেজারকে বোমা ফাটানোর ভয় দেখিয়ে ব্যাংকলুটের হুমকি দেয়া সেই যুবকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবক নাম আবু সিদ্দিক ওরফে আবু বকর সিদ্দিক (৩০)। তিনি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার বিসারীঘাটা এলাাকর মৃত সেকান্দার আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজাররের বটতলা এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় ভেলমন্ট গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ব্যাংক ম্যানেজার এম ফরিদ আহম্মেদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাসন থানায় যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বাসন থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম মামলার বরাত জানান, বুধবার দুপুর ১২টা ২৩ মিনিটে চান্দনা চৌরাস্তার শাপলা ম্যানশনের প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের জয়দেবপুর চৌরাস্তা শাখায় এক যুবক কাঁধ ব্যাগ নিয়ে শাখা ম্যানেজারের রুমে ঢোকে। পরে যুবকটি তার মোবাইলে থেকে ভিডিও ক্লিপ প্লে করে দেখিয়ে বলেন ব্যাগের ভেতরে একটি বোমা আছে এবং এই বোমার রিমোর্ট ব্যাংকের নিচে অপেক্ষারত তার লোকজনের কাছে রয়েছে।
যদি ম্যানেজার ও ব্যাংকের লোকজন চিৎকার করে তাহলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সকলকে মেরে ফেলা হবে। সকলকে রক্ষা করতে ব্যাংকের ভোল্ট খুলে বস্তায় ভরে তাকে টাকা দিতে বলেন ওই যুবক। পরে ম্যানেজার তাকে বসিয়ে রেখে কৌশলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবককে আটক করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. আজাদ মিয়া জানান, পুলিশ ওই যুবককে আটক করার পর কৌশলে ব্যাগটি উদ্ধার করে এবং তাকে বাসন থানা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। ইতোমধ্যে ব্যাগে থাকা বস্তুটি বাস্তবে বোমা কি-না তা যাচাই করতে ঢাকায় বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়। ঢাকা সিটি কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বোমা ডিসপোজাল সদস্যরা ব্যাংকে পৌঁছেন। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, ব্যাগে থাকা বস্তুটি ছিল বোমা, একটি ইমপ্রোভাইড এক্সক্লেসিভ ডিভাইস (আইইডি)। পরে শাপলা ম্যানশনের সামনে বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বাসন থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম আরো জানান, যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন নিজ জেলায় একটি (২০০৭ সালে) মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন। পরে অর্থাভাবে তিনি চাকরিতে ঢোকেন। সম্প্রতি ভেলমন্ট কারখানায় চাকরিও নেন তিনি। কিন্তু করোনাকালে তিনি চাকরিচ্যুত হন। চাকরিচ্যুতির পর থেকেই তিনি বেশ হতাশায় ভুগছিলেন।
ওসি বলেন, হতাশায় থেকে আবু বকর ব্যাংকলুটের পরিকল্পনা করেন। বিস্তারিত জানতে তাকে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। বিচারক মো. হামিদুল ইসলাম তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে ব্যাংকলুটের পরিকল্পনায় আবু বকর একা ছিলেন না-কি তার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত রয়েছেন সে ব্যাপারে কোন তথ্য দেয়নি পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।