জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদহার, তবুও বাড়ছে বিলাসী ঋণ নেওয়ার পরিমাণ। গত জুন থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে শুধু ভোক্তাঋণ বিতরণই বেড়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। আর গত এক বছরে এই খাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৯ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের মতে, ধীরে ধীরে ব্যাংকিং খাত সচল হচ্ছে। তাই বাড়ছে ঋণ বিতরণও।
চলতি বছরের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে বারবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেড়েছে সব ধরনের সুদহার। ফলে, ভোক্তা ঋণেও ব্যাংকগুলোতে সুদের হার বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ভোক্তাঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকায়, যা জুন মাসে ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। আর সেপ্টেম্বর শেষে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য কেনায় ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ৩৫ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। গত এক বছরে বেড়েছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা।
এ নিয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা তৈরি হয়েছে, এতে এখন যদি সকল ব্যাংক ঠিকঠাক প্রশাসনিক কার্যক্রম চালায়, তাহলে ধীরে ধীরে সংকটগুলো উত্তরণ হবে। এবং আমাদের দেশে আগের যে ভাবমূর্তি ছিল, সে জায়গাতে আমরা পৌঁছাতে পারব।’
অর্থনীতিবিদদের মতে, এখন দেশের ব্যাংকিং খাত সচল হতে শুরু করেছে। তাই বাড়ছে ঋণ বিতরণও। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘যেখানে সুদের হার বেশি থাকে, সেখানে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোও আগ্রহী হয়। আর যে ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে এসব ঋণ দেওয়া হয়, সেগুলো কিন্তু ফেরত পাওয়া যায়।’
দেশে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট সমাধানে নানামুখী সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের আস্থা বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।