বিশ্বজুড়ে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা যন্ত্রে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে ‘ব্যাডবক্স’ নামের ম্যালওয়্যার। আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে তৈরি করা এই ম্যালওয়্যারকে ‘ট্রায়াডা’ ম্যালওয়্যার পরিবারের অংশ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। জার্মানির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটসাইট সম্প্রতি ব্যাডবক্স ম্যালওয়্যারের বটনেট নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। এর ফলে ম্যালওয়্যারটি এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং স্মার্টফোন, স্মার্ট টিভিসহ বিভিন্ন যন্ত্রে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
বিটসাইটের গবেষণায় দেখা গেছে, এই ম্যালওয়্যারের সংক্রমণের পেছনে থাকা কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারে মাত্র ১ দিনে ১ লাখ ৬০ হাজার স্বতন্ত্র আইপি ঠিকানা শনাক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী দিনগুলোয় সংক্রমণের এ সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। ম্যালওয়্যারটি স্মার্টফোনের পাশাপাশি স্মার্ট টিভি, ছবি দেখার ডিজিটাল ফ্রেম, স্ট্রিমিং ডিভাইস ও মিডিয়া প্লেয়ারের মতো যন্ত্রেও ছড়িয়ে পড়ছে। ব্যাডবক্স ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা মূলত বিজ্ঞাপন প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আয় করে। এ জন্য ব্যবহারকারীদের অজান্তেই ম্যালওয়্যারটি সংক্রমিত যন্ত্রগুলোকে ‘রেসিডেনশিয়াল প্রক্সি’ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
ব্যাডবক্স ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত যন্ত্রগুলো চেনার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। স্মার্টফোন বা বিভিন্ন যন্ত্র অতিরিক্ত গরম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, সিপিইউ ব্যবহারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেটিংসে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হলেই বুঝতে হবে ব্যাডবক্স ম্যালওয়্যার প্রবেশ করেছে। বেশির ভাগ সময়ই ম্যালওয়্যারটি যন্ত্রের সরবরাহ চেইনে যোগ করা হয়। অনেক নির্মাতা এমন সফটওয়্যার ইনস্টল করেন, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই নতুন অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে পারে। এর ফলে ম্যালওয়্যারটি শনাক্ত করা অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়ে।
ব্যাডবক্স ম্যালওয়্যারের বিষয়ে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংক্রমিত বেশির ভাগ যন্ত্রে গুগল প্লে প্রটেক্ট সনদ নেই। যন্ত্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল থাকায় ম্যালওয়্যারটি সহজেই প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, শুধু প্লে প্রটেক্ট সনদ পাওয়া যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রের নিরাপত্তা নিয়মিত হালনাগাদ করার পাশাপাশি অবিশ্বস্ত উৎস থেকে যন্ত্র কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।