২০ পেরোতেই চুল ঝরে পড়া শুরু হয়েছিল এই বায়োটেক জিনিয়াসের। কিন্তু এখন ৪৭ বছর বয়সেও মাথা ভর্তি চুল ধরে রেখেছেন কিছু কৌশল অবলম্বন করে। সেগুলো সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন তিনি। আজকাল চুল পড়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ভুগছেন এই সমস্যায়। আর বংশগত টাক হলে সমস্ত আশা ছেড়েই দেন সবাই। তবে এক্ষেত্রে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রযুক্তি দুনিয়ার ৪৭ বছর বয়সী মার্কিন বায়োটেক জিনিয়াস ও মিলিয়নিয়ার ব্রায়ান জনসন।
বংশগত টাক পড়ার প্রবণতা থাকলেও প্রাত্যহিক যাপনচর্চা , খাদ্যভ্যাস ও শারীরিক ব্যায়াম সংক্রান্ত কিছু কৌশল মেনে তিনি ফিরে পেয়েছেন মাথা ভর্তি চুল। মিলিয়নিয়ার ব্রায়ান জনসন সম্প্রতি জনস্বার্থে প্রকাশ করেছেন তাঁর টাক মাথায় চুল ফিরে পাওয়ার রহস্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করেছেন তিনি তাঁর এই বিস্ময়কর রূপান্তর। সেখানে একটি থ্রেড তৈরি করেন জনসন জানিয়েছেন তাঁর চুল পড়া বন্ধ করা এবং তা ফিরিয়ে আনার সকল কৌশল। জনসন তাঁর পোস্টে লেখেন বংশগতভাবে আমার টাক পড়ার কথা ছিল। বয়স ৩০ হওয়ার আগেই আমার চুল পাকা ও ঝরে পড়া শুরু হয়। কিন্তু এখন ৪৭ বছর বয়সেও আমার মাথা ভর্তি চুল আছে। আর আমার ৭০ শতাংশের মতো সাদা চুল কমে গিয়েছে। আমি যেভাবে এটি সম্ভব করেছি, তা সকলে জানাতে চাই।
বংশে প্রবণতা থাকায় বয়স ২০ পেরোতেই তাঁর চুল পড়া ও সাদা হয়ে যাওয়া শুরু হয় জনসনের। নিজেকে টেকো লোক হিসেবে মেনে না নিয়ে, তিনি বরং মনোযোগ দিয়েছেন যথাযথ চিকিৎসা ও পুষ্টির দিকে। তাঁর এই রূপান্তর সম্ভব হয়েছে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে, প্রোটিন ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এর উপকারি ভূমিকার জন্য। জনসন পুরুষদের ঠিকঠাক চুল পড়া শুরুর আগেই সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করেন।
পুষ্টির সঙ্গে জনসন তার জেনেটিক্স অনুসারে মেলাটোনিন, ক্যাফিন এবং ভিটামিন ডি ৩ দিয়ে একটি পার্সোনালাইজড ফরমুলা তৈরি করেছেন। এ ছাড়াও দৈনন্দিন রুটিনে রেড লাইট থেরাপি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এমনকি সারাদিন এই চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশেষ টুপিও পরেছেন তিনি।
জনসনের চুল ফিরে পাওয়ার পদ্ধতিগুলোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ওরাল মিনোক্সিডিল। এটি একটি টপিক্যাল চুলের ট্রিটমেন্টের ঔষধ। বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় ঔষধটি ডাক্তারের পরামর্শে স্বল্প পরিমাণ গ্রহণ করতে হয়েছে তাঁকে।
টাকের চিকিৎসায় ব্রায়ান জনসনের কার্যকর কৌশলগুলো আবার দেখে নিন এক নজরে
১. ডায়েট: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আর সঠিক পুষ্টি গ্রহণ তার চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
২. বিশেষ সাপ্লিমেন্টস: চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে তিনি বিশেষ ধরনের সাপ্লিমেন্টস ব্যবহার করেছেন।
৩. ব্যায়াম করা ও স্ট্রেস কমানো: নিয়মিত ব্যায়াম করেছেন তিনি। মানসিক চাপ কমানোর জন্য বিশেষ কৌশল ব্যবহার করেছেন এই মিলিয়নিয়ার।
৪. সর্বাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি: নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন হরমোন থেরাপি এবং স্টেম সেল ট্রিটমেন্টও ব্যবহার করেছেন তিনি।
তবে সবকিছুর ক্ষেত্রেই আগাম পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি বিশ পেরোতেই। আর এটাই চল্লিশ পেরিয়ে টাক প্রতিরোধে তাঁর জন্য জাদুর মতো কাজ করেছে, দিয়েছে তাঁকে অভাবনীয় সাফল্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।