আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামারি চলাকালে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করে বিপাকে পড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। দলের ভেতরে ও বাইরে থেকে তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে বরিসের চিফ অব স্টাফসহ চার সহকারী বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।
প্রথমে জনসনের ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন জ্যাক ডয়েল, পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা পদত্যাগ করেন। পরে পদত্যাগ করেন তার চিফ অব স্টাফ ড্যান রসেনফিল্ড।
প্রধানমন্ত্রী বরিসের প্রধান ব্যক্তিগত সহকারী মার্টিন রেনল্ডসও পদত্যাগ করেছেন।
বরিস জনসন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, তারা করোনাকালে যে কাজ করেছেন, সরকার ও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।
বরিস জনসন করোনা মহামারির বিধি ভেঙে একাধিক পার্টি করেন। এসব পার্টিতে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ক্ষমাও চেয়েছেন।
কিন্তু তার পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধীরা। এমনটি তার নিজ দল রক্ষণশীল পার্টির কয়েকজন আইনপ্রণেতাও পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ১৭ জন রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা জনসনের বিরুদ্ধে দলের কাছে অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন। ৫৪ জন এমপি এ রকম চিঠি দিলে দলে নেতৃত্ব নিয়ে ভোটাভুটি হবে।
বিরোধী লেবার পার্টি ইতোমধ্যেই পার্লামেন্টে জনসনের পদত্যাগ দাবি করেছে। জনসনের করা এসব পার্টি নিয়ে এখন লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
দায়িত্ব নেয়ার এক বছরের মধ্যে চিফ অব স্টাফ রসেনফিল্ড পদত্যাগ করলেন। ডয়েল ও রেনল্ডের নাম পার্টিগেটে উঠেছে।
রেনল্ডসই ২০২০ সালের মে মাসে ই-মেল পাঠিয়ে ‘নিজের মদ নিজে আনো’ পার্টির আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পুলিশ যে সব পার্টি নিয়ে তদন্ত করছে, তার মধ্যে একটিতে ডয়েল যোগ দিয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।