জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রিটেনের রানীর ‘মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার’ (এমবিই) পদক গ্রহণ করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি ড. শেহরিন সেলিম রিপন।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী ফারহানা সেলিমকে নিয়ে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক গ্রহণ করেন ড. শেহরিন সেলিম রিপন।
রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স চার্লস তার হাতে এ পদক তুলে দেন। পূর্ব লন্ডনে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখায় জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শেহরিন সেলিম এই খেতাবে অর্জন করেন। প্রতি বছর ব্রিটেনের রানীর জন্মদিন ও নববর্ষে এই খেতাব প্রদান করা হয়।
শেহরিন সেলিম রিপন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত ড. মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে এবং আওয়ামী লীগের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের ভাতিজা। তিনি বর্তমানে পূর্ব লন্ডনের উডফোর্টে বসবাস করেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নিজের ফেসবুক পোস্টে এ পদক গ্রহণের কথা জানান শেহরিন সেলিম রিপন। ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, লন্ডনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের সহযোগিতার জন্য তিনি ‘কর্ম স্বাধীন’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব লন্ডনের সুবিধাবঞ্চিত ৫ সহস্রাধিক মানুষকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। পূর্ব লন্ডনের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কাজ করে আসছেন তিনি।
শেহরিন সেলিম রিপন জানান, এ অর্জন আমার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের। একজন বাঙালির জন্য এটা গৌরবের। আজকের এই দিনে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে হয়তো বিদেশের মাটিতে বিচরণ সম্ভব হতো না।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ শেহরিন সেলিম রিপন যুক্তরাজ্যে সর্ব ইউরোপিয়ান বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সহ-সভাপতি, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন পত্রিকা সাপ্তাহিক দাবানলের সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।