জুমবাংলা ডেস্ক: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পুনঃনামকরণের মাধ্যমে বিএসআরএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং করার ঘোষণা দিয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইয়ের সাথে বিএসআরএম গ্রুপ অফ কোম্পানিজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্ট্রিজ এর চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘বিএসআরএম গ্রুপের উদার অনুদানের জন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পুনঃনামকরনের অনুমোদন দিয়েছে। এই অনুদান উন্নত গবেষণা এবং আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতিকে সহায়তা করার জন্য গঠনমূলক একাডেমিক উদ্যোগকে অর্থায়ন করবে।’
আগামী কয়েক বছরে বিশ্বমানের শিক্ষক নিয়োগ, গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহে অত্যাধুনিক গবেষণা এবং পাঠ্যক্রমের উদ্ভাবনী উন্নয়নে অনুদানের এই অর্থ ব্যয় করবে বিএসআরএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির তহবিলে বিএসআরএম গ্রুপ প্রদত্ত এই অনুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ফুল টিউশন গ্রান্টসসহ কিছু সংখ্যক মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রদানেও ব্যবহৃত হবে।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান খ্যাত বিএসআরএম গ্রুপ অফ কোম্পানিজ দেশের প্রাচীনতম শিল্পগোষ্ঠীসমূহের একটি। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠান ইস্পাত পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামো তৈরিতে অবদান রেখে চলেছে। উৎপাদন ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের গুণগত মানের বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। অতি সম্প্রতি পদ্মা সেতু প্রকল্পের পাইলিং-এ এই প্রথমবারের মতো ৫০ মিমি রড বিশেষভাবে ডিজাইন ও উৎপাদন করা হয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি, বিএসআরএম গ্রুপ তার ব্যাপক কর্পোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) কর্মসূচির মাধ্যমে যা বিশেষভাবে শহর এবং গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য, পরিবেশগত সুরক্ষা, সংকট মোকাবেলা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামুল্যে স্কুল পরিচালনাসহ শিক্ষা সহায়তার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।
বিএসআরএম এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমেরআলী হুসেইন বলেন, ‘বিএসআরএম এর প্রতিষ্ঠাতাগণের বদান্যতার দীর্ঘদিনের রীতি অনুসরণ করে আমরা বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের মূল চালিকাকে অর্থপূর্ণ উপায়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করি। নতুন প্রজন্মের প্রকৌশলীদের ডিজাইন এবং টেকসই সমাধান তৈরির চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত করার জন্য এই উপহারটি দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
বৃহত্তর সামাজিক অন্তর্ভুক্তির জন্য জনগণের ক্ষমতায়ন এবং সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে সক্ষম এমন নৈতিকতা সম্পন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইনস্টিটিউট, স্কুল, ডিপার্টমেন্ট ও সেন্টারসমূহ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহুমুখী গবেষণায় সম্পৃক্ততা এবং বহু সংখ্যক সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এর স্বাক্ষ্য বহন করে চলেছে যার মাধ্যমে সমাজ উপকৃত হয়।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এর চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘আমরা বিএসআরএম গ্রুপ অফ কোম্পানিজের এই উপহারকে স্বাগত জানাই কারণ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার প্রতিষ্ঠাকালীন চেতনায় অবিচল থেকে উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতির জন্য উদ্ভাবনের বৈশ্বিক ডিসকোর্সে নেতৃত্ব দিতে পরিবর্তনের পথে যাত্রা শুরু করেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।