আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপে আগামী ডিসেম্বরে তাপমাত্রা কমবে। একইসঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের ব্যবহার। রান্না করা, ওয়াশিং মেশিন চালানো ও ঘর উষ্ণ রাখার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার অত্যাবশকীয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু বর্তমানে ফ্রান্সে বিদ্যুৎ স্বল্পতায় বাল্ব জ্বালিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়েছে। খবর ব্লুমবার্গের
বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকায় এরইমধ্যে ইউরোপে ‘রেড’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শিল্প-কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ, এমনকি ভোল্টেজ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবহার রোধ করার জন্য গণ অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংকটে অনেকেই নির্দেশনা মেনে চললেও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
দিন যতই যাচ্ছে ইউরোপজুড়ে বিদ্যুৎ সংকট তত তীব্র হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে খাপ খেতে ইউরোপের সরকারগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের বিদ্যুৎ কোম্পানি রিসো ডি ট্রান্সপোর্ট ডি ইলেক্ট্রিসাইট বলেছে, এই শীতে রোলিং ব্ল্যাকআউট (বিদ্যুৎ সরবারহে বিঘ্ন) এড়াতে সম্ভবত আরও কয়েকবার বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে বলতে হবে। এ বিভ্রাটের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ফিনল্যান্ডও।
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় ইউরোপে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঘর উষ্ণ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না ইউরোপের দেশগুলো। ইউক্রেন অভিযানের জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে পুতিন ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে।
লন্ডনভিত্তিক থিংকট্যাংক অনওয়ার্ডের জ্বালানি ও জলবায়ু প্রধান এড বিরকেট বলেন, ইউরোপ পর্যাপ্ত গ্যাস নেই। আর এটিই বাস্তবতা। চরম পরিস্থিতিতে পড়তে পারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলো।
গেল আগস্টে বেলজিয়ামের জ্বালানি মন্ত্রী টিন ভ্যান ডার স্ট্রাতেন বলেন, সহসা এ সংকট কাটার লক্ষণ নেই। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের শীতকালে এমন জ্বালানি সংকট থাকবে। তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ইইউর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় কমিশন সরকারগুলোকে বিদ্যুতের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার সময় (পিক আওয়ার) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।