বিজ্ঞানীরা জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে একটি নতুন আবিষ্কার করেছেন। তারা দুটি সংঘর্ষকারী ব্ল্যাক হোলের কক্ষপথে আপেক্ষিক অগ্রগতি নামক একটি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে। এই ঘটনাটি প্রথম আলবার্ট আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক তত্ত্বে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এখানে বলা হয় যে, ব্ল্যাক হোলের মত সুবিশাল অবজেক্টের দ্বারা স্পেস এবং সময়ের সিস্টেম বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয় ২০১৫ সালে। এর ফলে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্ব ঘটে যাওয়া পুরনো ঘটনা অধ্যয়ন করার সুযোগ পেয়েছে। যখন দুটি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে তখন বিপুল পরিমাণ এনার্জি নিঃসৃত হয়।
ইন্টারফেরোমিটার নামক বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে পৃথিবীতে সব মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কম্পাঙ্ক শনাক্ত করা সম্ভব। ২০২০ সালে এভাবেই একটি মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সংকেত সনাক্ত করা হয়েছিল। ওই সময় দুটি বিষয়ে ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষের ঘটনার নামকরণ করা হয়েছিল GW200129।
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সংকেতটি অধ্যায়ন করে জানতে পেরেছেন যে, ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষের ঘটনার আগে এটির ঘূর্ণায়মান অবস্থা কেমন ছিল এবং আপেক্ষিক অগ্রগতির অবস্থা কেমন ছিল।
GW200129 সিস্টেমে পরিলক্ষিত অগ্রগতি আগের অগ্রগতির চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এ আবিষ্কারটি আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বকে ভালোভাবে সাপোর্ট করে। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব হচ্ছে এখন পর্যন্ত বিকশিত সবচেয়ে শক্তিশালী ভৌত থিওরির মধ্যে একটি।
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে এ ধরনের ঘটনা শনাক্ত করার ক্ষমতা পদার্থ বিজ্ঞানের একটি বড় সাফল্য। LIGO, Virgo, এবং KAGRA ইন্টারফেরোমিটারের মধ্যে ডাটা বিশ্লেষণের কৌশল এবং সহযোগিতার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা যেন আরো সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এসব যন্ত্র বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে রয়েছে এবং ২০২৩ সালে পুনরায় ডেটা সংগ্রহ করা শুরু হবে। বিজ্ঞানীরা মহাকাশে তরঙ্গ ব্যবহার করে নতুন ঘটনার সনাক্তকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মহাকর্ষ তরঙ্গের অধ্যয়নের বিষয়টি পদার্থবিজ্ঞানে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।