ব্রিটিশ অলিম্পিক সাইক্লিস্ট ক্রিস বোর্ডম্যানের মতে, ২০২৯ সালের মধ্যে, আমরা এমন একটি বাইকের দৈনন্দিন ব্যবহার দেখতে পাব যা কম্পিউটারের মতো বুদ্ধিমত্তা এবং পাংচার-প্রতিরোধী টায়ার রয়েছে। বোর্ডম্যান, একজন প্রাক্তন স্বর্ণপদক বিজয়ী ও তিনি এমন একটি ডিজাইন প্রকাশ করেছেন যার লক্ষ্য বাইককে কম্পিউটারের মতো “বুদ্ধিমান” হিসাবে তৈরি করা।
বাইকটিতে একটি শক্তিশালী লকিং মেকানিজম রয়েছে যা শুধুমাত্র আঙ্গুলের ছাপ শনাক্তকরণের মাধ্যমে যিনি মালিক তার দ্বারা খোলা যায়। এতে বাইকটির সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত থাকবে। এটিতে self-inflating টায়ারও রয়েছে যা পাংচার প্রতিরোধী, একটি ছোট কম্পিউটার যা প্যাডেলিং করার সময় ক্যালোরি বার্ন ট্র্যাক করে; একটি হালকা কার্বন ফাইবার ফ্রেমের উপস্থিতি রয়েছে এবং সৌর শক্তি ব্যবহার করে রিচার্জ করা যেতে পারে এমন আলো।
বাইকটিতে একটি ব্যাটারি-সহায়ক মোটর রয়েছে এবং রাইডাররা চালানোর সময় সঙ্গীত উপভোগ করতে পারে। বোর্ডম্যান বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের একটি বাইক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রযুক্তি ইতিমধ্যে বিদ্যমান। এখন শুধুমাত্র একটি কার্যকর নকশা তৈরি করা দরকার।
যদিও বাইকটির আনুমানিক মূল্য বর্তমানে ৫ লাখ ইউরো। বোর্ডম্যান বিশ্বাস করেন যে, একবার এটি ব্যাপক উৎপাদনে প্রবেশ করলে দাম প্রায় ২০০০ ইউরোতে নেমে যেতে পারে। তবে প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করবে কতজন বাইকটি কিনতে ইচ্ছুক। বোর্ডম্যান স্বীকার করেছেন যে লোকেরা নকশার বিষয়ে সন্দেহ করতে পারে, কারণ তারা জনসমক্ষে নিজেদের প্রতি কতটা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে সেটা নিশ্চিত না।
বোর্ডম্যান ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, এই উন্নত বাইকের ধারণার সাথে মানুষের খাপ-খাইতে ২০ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি স্বীকার করেছেন যে, লোকেরা এ ইউনিক ধারণার প্রশংসা করলেও প্রজেক্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে দেখা যেতে পারে। যদি যথেষ্ট আগ্রহ এবং সমর্থন থাকে তা সত্ত্বেও, বোর্ডম্যান এই ইন্টেলিজেন্ট বাইকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।