নাসার ভয়েজার ১ মহাকাশযান সৌরজগতের শেষ সীমানায় একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার করেছে। এটি খুঁজে পেয়েছে এক রহস্যময় “অগ্নিপ্রাচীর”। এই আবিষ্কারটি ঘটেছে হেলিওপজ নামক সৌরজগতের চূড়ান্ত সীমানায়। ভয়েজার ১ এই এলাকাটি অতিক্রম করার সময় অত্যন্ত উত্তপ্ত প্লাজমার একটি স্তর রেকর্ড করে।
হেলিওপজ কি এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
হেলিওপজ হল সূর্যের প্রভাবের শেষ সীমা। এই সীমানার বাইরে শুরু হয় আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ। নাসা নিশ্চিত করেছে যে ভয়েজার ১ এই সীমানা সফলভাবে অতিক্রম করেছে। এটি মানব ইতিহাসে প্রথম কোনো যান যা সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে গেছে।
এই আবিষ্কারটি বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে সৌরজগত মহাকাশের অন্যান্য অংশ থেকে নিজেকে রক্ষা করে। ভয়েজার ১-এর পাঠানো তথ্য অনুসারে, হেলিওপজে তাপমাত্রা ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ কেলভিন পর্যন্ত পৌঁছায়।
ভয়েজার ১-এর যাত্রা এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য
ভয়েজার ১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। এটি এখন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থানকারী মানবসৃষ্ট বস্তু। এই মহাকাশযানটি সম্প্রতি পৃথিবীতে তথ্য পাঠিয়েছে যে এটি একটি উত্তপ্ত প্লাজমার প্রাচীর অতিক্রম করেছে।
এই “অগ্নিপ্রাচীর” আসলে সৌরবায়ু এবং আন্তঃনাক্ষত্রিক মাধ্যমের মধ্যে সংঘর্ষের ফল। এই সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট প্লাজমা অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছায়। তবে ঘনত্ব কম হওয়ায় ভয়েজার ১-এর কোনো ক্ষতি হয়নি।
ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের জন্য implications
এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের interstellar মিশনগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এটি প্রমাণ করে যে সৌরজগতের সীমানা আগে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি জটিল। বিজ্ঞানীরা এখন এই তথ্য ব্যবহার করে আরও উন্নত মহাকাশযান ডিজাইন করতে পারবেন।
ভয়েজার ১ এর এই আবিষ্কার মানবজাতির জন্য একটি historical milestone। এটি আমাদের cosmic neighbourhood সম্পর্কে understanding কে সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে।
জেনে রাখুন-
ভয়েজার ১ এখন কোথায় অবস্থান করছে?
ভয়েজার ১ এখন সৌরজগতের ভাবে বাইরে অবস্থান করছে। এটি interstellar space এ প্রবেশ করেছে।
হেলিওপজ কি সত্যিই আগুনের প্রাচীর?
হেলিওপজ আসলে আগুনের প্রাচীর নয়। এটি অত্যন্ত উত্তপ্ত প্লাজমার একটি স্তর।
ভয়েজার ১ কতদিন কাজ করতে পারবে?
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভয়েজার ১ তথ্য পাঠাতে সক্ষম হবে।
ভয়েজার ১ কি আবার পৃথিবীতে ফিরবে?
না, ভয়েজার ১ কখনোই পৃথিবীতে ফিরবে না। এটি Milky Way galaxy এর center এর দিকে journey চালিয়ে যাবে।
এই আবিষ্কারের practical application কি?
এই আবিষ্কার আমাদের মহাবিশ্ব understanding বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ভবিষ্যতের interstellar travel এর জন্য crucial information প্রদান করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।