জুমবাংলা ডেস্ক: এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী ভরাডুবির পথে রয়েছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে টিকতে পারেননি দলের অধিকাংশ প্রার্থী। আওয়ামী লীগ জাপাকে যে ২৬টি আসনে ছাড় দিয়েছিল তার মধ্যে মাত্র কয়েকটিতে জয় আসতে পারে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাত্র ৮টি আসনে এগিয়ে, আরও ৫ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়ে আছেন বলে জানা গেছে।
এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা হলেন- পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের রংপুর-৩ (সদর), মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল), সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা), আশরাফুজ্জামান আশু সাতক্ষীরা-২ (সদর) কুড়িগ্রাম-১ – এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।
রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি হলেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
জাপার সাবেক মহাসচিব পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আংশিক যে ফলাফল পাওয়া গেছে জাতীয় পার্টির ২৬ আসনের মধ্যে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন নীলফামারী-৩ রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ হোসেন মকবুল শাহরিয়ার), কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারী,গাইবান্ধা-২ জাপার মো. আব্দুর রশিদ সরকার, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, মানিকগঞ্জ-১ জহিরুল আলম রুবেল এবং ঢাকা-১৮ শেরীফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম-৮ সোলায়মান আলম শেঠ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা করে জাতীয় পার্টি। ওই আসনগুলো থেকে নৌকা সরিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। এসবের মধ্যে মাত্র ৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে দলটির প্রার্থীরা। ২৬ আসনের তালিকায় থাকা রংপুর-১, নীলফামারী-৪, ঢাকা-১৮, পিরোজপুর-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, মানিকগঞ্জ-১ সহ অনেক আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের চরম ভরাডুবির আলামত দেখছেন অনেকেই।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জোট হয় ২০০৮ সালে। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে শেষ পর্যন্ত ৩২ আসন ছেড়ে দেয়। আর উন্মুক্ত ১৭টি আসন উভয়দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ২০ আসনে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ১৩টি আসনে বিজয়ী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ, সব মিলিয়ে ২৭৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এরমধ্যে জোটগতভাবে ২১টি আরও উন্মুক্ত থেকে একটি আসনে বিজয়ী হয় জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।