নারায়ণগঞ্জের দেওভোগের পাইকারি রেডিমেড পোশাক মার্কেটের তৈরি পোশাক যেন মানসম্মত তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। এ কারণে এ পোশাক ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে এ তৈরি পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এ কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পোশাক ব্যবসায়ীরা এখানে ভিড় করতে থাকে। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশীয় তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত থেকে পোশাক আমদানি তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে ভারতের পোশাক কম বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাড়তি দামে বিক্রি করে থাকে।
শহরের দেওভোগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকার প্রবেশমুখে পাঁচটি বৃহৎ মার্কেট নিয়ে গড়ে উঠেছে রেডিমেড পোশাকের পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্র। পাঁচ শতাধিক দোকান ও সহস্রাধিক কারখানায় প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক কর্মচারী কাজ করেন। দোকানগুলোতে ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টুপি, শার্ট, মেয়েদের সালোয়ার কামিজ, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা এবং সব বয়সের শিশুদের উপযোগী আধুনিকমানের তৈরি পোশাক পাইকারি মূল্যে বিক্রি হয়।
মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, গুণগত মান ও দামে সাশ্রয় হওয়ায় এখানকার তৈরি পোশাক রাজধানীর সদরঘাট, বঙ্গবাজার, চাঁদনী চক, গাউছিয়া ও নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিং মলে সরবরাহ হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের প্রায় জেলা থেকেই পাইকারি পোশাক ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পণ্য ক্রয় করেন। তাই ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব এলেই বেচাকেনা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যায়। গুণগত মান ও মূল্য সাশ্রয়ের কারণে সারা দেশেই এই মার্কেটের তৈরি পোশাকের বিস্তর চাহিদা রয়েছে।
’
পোশাক বিক্রেতারা জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলতি বছর উন্নতমানের এসি কটন, লিলেন, জর্জেট, ইউনিটিকা, জিমিচু, জিপ্পু ও টিস্যু কাপড় দিয়ে নতুন ডিজাইনের ভিন্ন ধাঁচের পোশাক তৈরি করেছেন তারা। এছাড়া ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী ডিজিটাল প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি ও সিকোয়েন্সসহ নানা ধরনের ফ্যান্সি ফ্যাশনের আকর্ষণীয় পোশাকও প্রতিটি দোকানে কালেকশনে রয়েছে। পাইকারি মূল্যে দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ছোট বড় সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে এই মার্কেটে।
তবে থান কাপড় ও সুতাসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর উৎপাদন খরচও অনেক বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নিতে কিছুটা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করায় এ বছর বেচাবিক্রি এখনও আশানুরূপ হচ্ছে না।
চলতি বছর ভারতের কোনো পণ্য আমদানি না হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। তাই সাশ্রয় মূল্যে নিজ দেশের তৈরি মানসম্মত পোশাক ক্রয় করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ এখন ভারতের উপর নির্ভরশীল নেই। সীমান্ত বন্ধ থাকায় ভারতের তৈরি কোন পোশাক দেশে আসছে না। ফলে এ বছর ভারতের কোন পণ্য না আসায় ক্রেতাদের কাছে আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা অনেক বেড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।