আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পক্ষ থেকে টুইটারকে বাধ্য করা হয়েছিল তাদের এক এজেন্টকে চাকরিতে রাখতে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নিরাপত্তা প্রধান পিটার জ্যাটকো। যদিও পিটারের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে টুইটার। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন পিটার।
অভিযোগকারী সাবেক টুইটার কর্মকর্তার দাবি, টুইটারে কর্মরত ভারতীয় এজেন্ট সংস্থার প্রযুক্তির উপর কোনো বাধা ছাড়াই নজর রাখতে পারত। টুইটারের সিস্টেমে সেই এজেন্টের অবাধ বিচরণের স্বাধীনতা ছিল।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, টুইটারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্মতিতেই ভারতীয় এজেন্ট চাকরি পেয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটিতে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল ভারতীয় এজেন্টকে চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে পরাগের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ ওঠে যে শেয়ারহোল্ডারদের তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তাজনিত ত্রুটির বিষয়ে মিথ্যা বলেছেন।
তবে শুধু ভারত নয়, নাইজেরিয়া ও রাশিয়াতেও নাকি স্থানীয় সরকারের চাপে পড়েছিল টুইটার। পিটারের অভিযোগ, ভারত, নাইজেরিয়া ও রাশিয়া টুইটারকে তাদের পছন্দের ‘এজেন্টকে’ কাজে রাখতে বাধ্য করেছিল।
পিটারের বক্তব্য, জেনে-বুঝে ভারতের এজেন্টদের টুইটারে চাকরিতে রাখার অর্থ, ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষার সাথে আপস করা।
পিটারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুইটারের পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারিতে টুইটার পিটার জ্যাটকোকে তার সিনিয়র নির্বাহী ভূমিকা থেকে বরখাস্ত করেছিল। আমাদের গোপনীয়তা এবং ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কে একটি মিথ্যা বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। এটা পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ এবং ভুয়া। এই দাবিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটের অভাব রয়েছে। এই অভিযোগ সুবিধাবাদী। টুইটারের গ্রাহক এবং শেয়ারহোল্ডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে এবং সংস্থার ক্ষতি করার জন্য এই অভিযোগ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টুইটারের অগ্রাধিকার থেকেছে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা। এবং এই বিষয়টি অব্যাহত থাকবে।’
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।