জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার কালাইচর সীমান্ত এলাকার পাহাড় থেকে নেমে আসা একাধিক বন্য হাতির দলের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ও যাদুরচর ইউনিয়নের পাঁচটি সীমান্ত গ্রামের জনজীবন।
পাহাড় থেকে হাতির দল নেমে আসলেই কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে দিলে দিচ্ছে ভারতের বিএসএফ। সেই গেট দিয়ে বন্য হাতির দল ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের অভ্যন্তরে। শুধু রাতে নয়- দিনের বেলাতেও আসছে। চষে বেড়াচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তছনছ করছে পাকা ধান ক্ষেত। গত এক সপ্তাহেরর বেশি সময় ধরে এ অবস্থা চলছে।
মঙ্গলবার (০২ জুন) দিনের বেলায় ২৬টি হাতি রৌমারী সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামে চষে বেড়াচ্ছিল বলে জানিয়েছেন এই গ্রামের অধিবাসী ও সাবেক এমপি মো. রুহুল আমিন।
এর ফলে রৌমারী সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ী ও চুলিয়ারচর এবং যাদুরচর ইউনিয়নের পাহাড়তলী ব্লকের দক্ষিণ আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্ধা, ঝাউবাড়ী ও বড়াইবাড়ী-এই পাঁচ গ্রামের হেক্টরের পর হেক্টর পাকা ধান ক্ষেত তছনছ করছে বন্য হাতির দল।
বড়াইবাড়ী গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, বন্যহাতির দল তার আড়াই বিঘা পাকা ধান ক্ষেত তছনছ করেছে। একইভাবে দক্ষিণ আলগারচর গ্রামের কৃষক হায়দার আলীর (৪৫) দুই একর এবং খেওয়ারচরের এমদাদুল হকের পাঁচবিঘা ধান ক্ষেত তছনছ হয়েছে। এতে তারা বিপুল পরিমাণ ক্ষতির কবলে পড়েছেন। সেই সঙ্গে হাতির দল কখন লোকালয়ে ঢুকে জানমালের ক্ষতি করবে এই আতঙ্কে দিনরাত কাটাচ্ছেন তারা
উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার রহমান জানান, সীমান্তবর্তী ওই ৩ ব্লকে এখনও ২৫০ হেক্টরের মতো জমির ধান কাটা বাকি রয়েছে। এরমধ্যে বন্য হাতির দল এই পর্যন্ত ৪০ জন কৃষকের ২৫ হেক্টরের মতো পাকা ধান ক্ষেত নষ্ট করেছে। এ অবস্থায় হাতির দল সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, সীমান্তের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হাতির দল বিচরণ করছে। সন্ধ্যায় এক দল ঢুকছে। সকালে চলে যাচ্ছে। আবার সকালে আসছে আরেক দল। বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে দেয়ায় হাতির দলগুলো একের পর এক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে।
তিনি আরও বলেন, রাতের বেলা চোখে টর্চ লাইটের আলো ফেলে হাতির দলকে খেদানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এজন্য পর্যাপ্ত টর্চ লাইট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেনারেটর দিয়ে বৈদ্যুতিক ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।