আবদুল্লাহ রাকীব : নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৪৬৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে ২০ হাজার ৬০০ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাতি বসানোর জন্য চুক্তি হয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান শাপার্জি পালানজি অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার এই প্রকল্পের ৮২ শতাংশ অর্থ ঋণ দিচ্ছে ভারত। কিন্তু এর মধ্যে সরকার পতনকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা শুরু হয় দেশে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্যাদেশ পেলেও কাজ শুরু করতে পারছে না ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। সব প্রস্তুতি শেষ করলেও, কর্পোরেশনের কাছ থেকে কাজ শুরু করার অনুমতি মিলছে না।
শাপার্জি পালানজি অ্যান্ড কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি মাহবুব হোসাইন বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার জন্য সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সিটি কর্পোরেশনেকে গত সপ্তাহেও আমরা চিঠি দিয়েছি, যাতে কাজ শুরু করার অনুমতিপত্র দেয়। দেড় মিলিয়ন ডলারের জামানত আটকে আছে, কিন্তু আমরা কাজ শুরু করতে পারছি না। বিনিয়োগ ও যথা সময়ে কাজ শুরু নিয়ে শঙ্কা আমাদের।’
আলোকায়ন খাতে টাকার অঙ্কে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। তবে আলোচিত এ প্রকল্পের কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে, তা নিয়ে ধারণা নেই সিটি কর্পোরেশনেরও।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় এই প্রকল্পে ঋণ নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে, তা আমরাও বলতে পারছি না। সরকারের অনুমতি ছাড়া তা সম্ভব নয়।’
এদিকে, প্রকল্প বিলম্বিত হলে ঋণের বোঝা বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ঋণ নিয়ে প্রকল্প গ্রহণে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।
নগর পরিকল্পনাবিদ মো. শাহ জালাল মিশুক বলেন, ‘ঋণ নিয়ে এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে অগ্রাধিকার ঠিক করা উচিত যে, তা নগরবাসীর কতটা উপকারে আসছে। অন্যথায় এসব ঋণ নগরবাসীর জন্য বিষফোড়া হবে।’ সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।