আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে`ভারতের গণতন্ত্রে কালো দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।
মেহবুবা এক টুইটে জানান, ভারতীয় গণতন্ত্রের আজ সবচেয়ে কালো দিন। ১৯৪৭ সালে ২ দেশের তত্ত্ব নাকচ করা ও ভারতের সঙ্গে থাকার জম্মু ও কাশ্মীরের নেতৃত্বে সিদ্ধান্তরই ফল এটা। খবর এনডিটিভির।
সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে কাশ্মিরকে যে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল সেটি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে লাদাখকে আলাদা করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সোমবার সকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এই ঘোষণার পর সরকারের উদ্দেশ্যকে ‘অশুভ’ বর্ণনা করে মেহবুবা টুইটে জানান, সরকার চায় জম্মু ও কাশ্মীরের জনতত্ত্বই বদলে দিতে। এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীর আর রাজ্য রইল না। তাকে ‘পুনর্গঠিত’ করা হবে।
অমিত শাহ প্রস্তাব পেশ করেছেন, এই রাজ্যে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরে আইনসভা থাকবে এবং লাদাখে আইনসভা থাকবে না। দু’জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর থাকবেন।
গত সপ্তাহ থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই ঘোষণার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহেবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে নজরবন্দি করা হয়। গ্রেফতারও হয়েছেন আরও নেতারা। উপত্যকার বেশ কিছু এলাকায় ইতোমধ্যেই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
মোবাইল ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এবং শ্রীনগর ও এই রাজ্যের একাংশে জনসভা ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।