
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ রোগে প্রায় ৬০০’র বেশী লোক অসুস্থ হয়েছে। অসুস্থ রোগীরা বলছে তাদের বমি বমি ভাব আসে, মাথা ঘুরায় এবং তারা হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাদের তাদের রক্তের নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত সীসা ও নিকেল পাওয়া গেছে।
এক সপ্তাহ আগে ভারতের যে এলাকায় রহস্যময় রোগে শত শত রোগী তীব্র অসুস্থতা অনুভব করছিল বিজ্ঞানীরা সে এলাকার দুধের নমুনায় নিকেল পেয়েছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের ইমলু নগরে প্রায় ৬০০’র বেশী লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা বলেছে,তাদের তীব্র বমি বমি ভাব আসে, মাথা ঘুরায় এবং তারা হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এসব রোগীর রক্তের নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত সীসা ও নিকেল পাওয়া গেছে। ৭ ডিসেম্বর এক রোগীও মারা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে দুয়ের অধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা গেছে একই ধরনের লক্ষণ নিয়ে। কিন্তু, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন এসকল মৃত্যু ওই রহস্যময় রোগের কারণে হয়নি তারা অন্য রোগের কারণে মারা গেছে।
অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের একজন বিজ্ঞানী জানান ইলুরু শহর থেকে সংগ্রহকৃত দুধের নমুনায় নিকেল পাওয়া গেছে।
আল-জাজিরাকে ফোন সাক্ষাৎকারে ইলুরু জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট এভিআর মোহন বলেন, ‘দুধের নমুনায় নিকেলের উপস্থিতি এমনই( মারাত্মক) বিষয় যা আমাদের সতর্ক হতে বলে। দুধের নমুনায় এ ধাতুর উপস্থিতি কাম্য নয়। এটা খুবই আতংকজনক একটা বিষয়।’
মোহন(এ জেলার স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার তত্ত্বাবধায়ক ও সমন্বায়ক ) বলেন, বিজ্ঞানীদের বের করতে হবে দুধের নমুনায় কেন এই ধাতু পাওয়া গেল। সম্ভবত, কীটনাশক ব্যবহারের কারনে এ স্বাস্থ্য-ঝুকির সৃষ্টি হয়েছে।
এটা অবশ্যই ঘাসে বা গরু যা খায় তার কোথাও থাকতে পারে। গত, বুধবার ভারতের গন-মাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থেকে এ রহস্যময় রোগের প্রাদুর্ভাব বলে ভারতের স্বাস্থ্য ও রাসায়নিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন।
গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তারা রোগীদের রক্তে মাত্রাতিরিক্ত পরিমানে সীসা ও নিকেল পেয়েছেন।
কর্তপক্ষ এখনও সীসার উৎস খুজছেন। মোহন বলেন, ‘সীসা অন্যান্য নমুনায় পাওয়া যায়নি। এটা শুধুমাত্র রোগীদের রক্তের নমুনায় পাওয়া গেছে। এর উৎস খুজে বের করা উচিৎ।’
ভারতের মিডিয়া বলছে, দেশটির জাতীয় পুষ্টি ইন্সটিটিউটের অফিসাররা ওই অঞ্চলের বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য যেমন, গোশত,মুরগি, মাছ, চিংড়ি এবং সব্জির নমুনা পরীক্ষা করেছে। তারা কিছু সব্জিতে কীটনাশকের উপাদান পেয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব রোগী ছিল তারা হাসপাতাল ছেড়েছেন এবং রবিবার হতে এধরনের সমস্যা নিয়ে কোন নতুন রোগী আসেনি।
সূত্র : আলজাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।