দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে আটক হলো বাংলাদেশের চার কিশোরী। আসামে টহল পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
উন্নত কাজ ও ভালো জীবনের আশায় দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার চেষ্টা করেছিল চার বাংলাদেশি কিশোরী। পথে ভারতের আসাম রাজ্যে টহল পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কিশোরীদের বাংলাদেশের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তরকৃত চার কিশোরী হলো—
পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ে আখি খাতুন (২০),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর উপজেলার হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),
নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬) এবং
শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।
জানা গেছে, চারজনই ঢাকার বাড্ডার নতুন বাজার এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং একজন একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
বিজিবি জানায়, দালালচক্রের সদস্যরা উন্নত কাজের লোভ দেখিয়ে মেয়েদের সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আখী আকতার জানায়, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হয়। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিল। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌঁছান। ২৩ নভেম্বর গুয়াহাটি পুলিশ তাদের আটক করে।
আখি আরও জানায়, আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম।
পরে ২৬ নভেম্বর বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার পূর্বকেদার সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫ এর সাব পিলার ১৪ এস এর নিকটে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে তাদের হস্তান্তর করে বিএসএফ। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কেদার কোম্পানি সদরের হাবিলদার শাহজাহান আলী এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রুস্তম ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।
কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার কিশোরীকে বিজিবির জিম্মায় নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদের কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। চার কিশোরীকে অভিভাবকদের কাছে দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



