জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার অপরাধে বাংলাদেশি ছয় জেলে প্রায় ৪ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে বাংলাদেশ প্রবেশ করে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
ফিরে আসা জেলেরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আমির হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে মো. বেল্লাল মাঝি, দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের সুলতান চৌকিদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তালুক চরদুয়ানী গ্রামের আ. রব জোমাদ্দারের ছেলে মো. এমাদুল হক, মৃত হাফেজ জোমাদ্দারের ছেলে মো. শাহিন, জ্ঞানপাড়া গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে আবদুল হক ও পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার চরখালী এলাকার বাহাদুর চাপরাশির ছেলে মো. ইমরান চাপরাশি। ট্রলারের মালিক পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মো. তৌহিদুল ইসলাম।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফিরে আসা ছয় জেলেই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইসহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাথরঘাটায় দেশের বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা চালানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে স্রোতে ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করে। একপর্যায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ভারতীয় জলসীমায় গেরাফী দিয়ে ৬ জেলে নিয়ে অবস্থান করছিল ট্রলারটি। ভারতীয় বন বিভাগের সদস্যরা অনুপ্রবেশের অপরাধে ট্রলারসহ ছয় জেলেকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিলে আদালত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাড়ইপুর কারাগারে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, তারা দুঃসহ জীবন কাটিয়েছেন। অনুপ্রবেশের দায়ে ৩ বছরের সাজা ভোগের মেয়াদ শেষ হলেও বেশিদিন কারাগারে বন্দি ছিলেন। জেলেরা ফিরে আসায় এখন দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছে পরিবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।