জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের পীরগাছায় তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রওশন জমির সরদার রবুর বিরুদ্ধে ভিজিডির (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) চাল আত্মসাৎ ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল কম দেওয়ায় সুবিধাভোগী দুস্থ নারীরা ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের আশ্বাস দিলে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়।
সুবিধাভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জমির সরদার রবু ভিজিডির চাল বিতরণ শুরু করেন। ওই ইউনিয়নে মোট ৩৯০ জন ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ নারী রয়েছে। ইউপি ভবন থেকে বস্তায় ভরা অবস্থায় এ চাল বিতরণ করা হয়। বিতরণ করা বস্তা মিটারে মেপে দেখা যায়, প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বস্তা প্রতি চাল রয়েছে ২৫ থেকে ২৭ কেজি।
চাল কম দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে বিকালে সুবিধাভোগী দুস্থ নারীরা ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে বিক্ষাভ শুরু করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ইউপির ভিজিডির চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে ওই কর্মকর্তা ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এর আগেও তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল কালোবাজারে বিক্রিসহ একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় পীরগাছা থানা পুলিশ ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযাগপত্র দাখিল করেছেন।
তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন জমির সরদার রবু চাল কম দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শুরুতে ২৭ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। পরে তদারকি অফিসারের উপস্থিতিতে ৩০কেজি করে বিতরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে তদারকি অফিসারের নাম না জানায় তার অনুপস্থিতিতে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়।
ওই ইউপির ভিজিডির চাল বিতরণে তদারকি দায়িত্বে থাকা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী তুহিন বিশ্বাস বলেন, আমি তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা হলেও ভিজিডির চাল বিতরণের বিষয়ে আমাকে অবগত করা হয়নি। আমি নিজে চাল মেপে দেখেছি প্রতি বস্তায় ৩০ কেজির স্থলে ২৫-২৭ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে আমি আসার পর ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুুল আরেফীন বলেন, ওই ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।