জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেমিকার একাধিক প্রেমের সম্পর্ক থাকায় জিহাদী হাসান (২৬) নামে এক প্রেমিক তার প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিও কলে এসে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিডিও কলে প্রেমিক জিহাদী তার প্রেমিকা মীমের কাছে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চায়।
নিহত যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে। তিনি চট্রগ্রামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্সিতে চাকরি করতেন। সেখানে তিনি আত্মহত্যা করেন। লাশ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্রগ্রাম থেকে রওনা হয়েছে বলে তার পরিবার জানায়। প্রেমিকা সানজিদা হক মীম বেনাপোল পোর্ট থানার স্বরবাংহুদা গ্রামের সেলিমুল হকের মেয়ে।
জানা যায়, জিহাদী ভিডিও কলে রশি টানিয়ে মীমের নিকট তার শেষ ইচ্ছা জানতে চায়, তাকে গ্রহণ করবে কিনা না জানতে চায়। গ্রহণ না করলে করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানিয়ে দেয়। মীম তার ভিডিও কলের সব দৃশ্য দেখেও জানায়, সে আত্মহত্যা করলে তার কিছু যায় আসে না। এমন কথা শোনার পর জিহাদী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
জিহাদীর ছোট ভাই মেহেদী হাসান জানায়, প্রায় দুই বছর তার ভাইয়ের সঙ্গে মীমের সম্পর্ক রয়েছে। আর মিম যশোরে লেখাপড়া করায় তাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হত। তার ভাই চট্রগ্রাম থেকে মীমকে লেখাপড়ার খরচও দেয়। সম্প্রতি জিহাদী জানতে পারে মিম আরো ছেলেদের সঙ্গে প্রেম করে। এ বিষয় নিয়ে জিহাদী মিমের কাছে জানতে চায়। এসময় জিহাদী বলে, ‘তুমি আমাকে বল, আমাকে বিয়ে করবে কি না, আর না করলে আমি আত্মহত্যা করব।’ মিম ওই রশি দেখেও তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং আত্মহত্যা করলে তার কিছু যায় আসে না বলে জানায়। এরপর জিহাদী গতকাল বুধবার চট্রগ্রামে নিজ অফিসে আত্মহত্যা করে।
সানজিদা হক মীম বলেন, তার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি জিহাদী সিগারেট খাচ্ছে এমন কথা শুনে অভিমান করে তাকে না বলা হয়েছে। তার জন্য সে আত্মহত্যা করবে?
মীমের বাবা সেলিমুল হক বলেন, আমি মেয়ের সঙ্গে সাদিপুর গ্রামের জিহাদী নামে একটি ছেলের সম্পর্ক আছে জানি। তবে তাদের সঙ্গে বিয়ে দিতে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কেন, কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে আমি জানি না।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্রগ্রাম থেকে জিহাদীর মৃত্যুদেহ বেনাপোল এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।