ব্যালন ডি’ অরের ভোটাভুটিতে ভিনিসিয়ুসের পক্ষে ছিলেন আফ্রিকান মহাদেশ। কিন্তু নিজের মহাদেশের ভোটই পাওয়া হয়নি ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারের। প্রতিদ্বন্দ্বী রদ্রি হার্নান্দেজ ইউরোপের প্রতিনিধি হয়ে নিজ মহাদেশের ব্যাপক পরিমাণ সাংবাদিকের ভোট পেয়েছেন। এই সৌভাগ্যটাই পাশে পাননি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। সাংবাদিকদের ভোটের অনেকটাই গিয়েছে রদ্রির পক্ষে।
দক্ষিণ আমেরিকা এবং উত্তর আমেরিকায় বেশকিছু মূল্যবান ভোট হারিয়েছেন তিনি। ব্যালন ডি’ অরে অনেকটা এগিয়ে থেকেও সেখানেই কপাল পুড়েছে ভিনি জুনিয়রের। এরমাঝে এল সালভাদর থেকে ব্যালন ডি’ অরে ভোট দেয়া সাংবাদিক ব্রুনো পোরজিও নিজের সেরা দশেই রাখেননি ভিনিসিয়ুসকে। যার পেছনে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার আচরণকে।
বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের বক্তব্য, ‘আমি ভিনিসিয়ুসকে আমার শীর্ষ দশে বিবেচনা করিনি কারণ সে ফেয়ার প্লের ভালো কোনো উদাহরণ নয়। সে ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান কম। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র মাঠের কেবল অল্প এক জায়গায় প্রভাব ফেলে। সে ইউরোপের শীর্ষে দশেও নেই।’
লাতিন আমেরিকা থেকে চিলি, ভেনেজুয়েলা এবং ইকুয়েডর থেকেও ভোট পাওয়া হয়নি ভিনিসিয়ুসের। এনচিরিঙ্গুইতো টিভিতে উপস্থিত হয়েছিলেন চিলির সাংবাদিক দানিলো দিয়াজ। নিজের ভোট নিয়ে তিনি জানান, ‘আমি ভিনিসিয়ুস এবং বেলিংহামকে বাদ দিয়েছি কারণ তারা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খুবই বাজে ছিল। ভিনিসিয়ুস কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচেই ১৭ বার বল হারিয়েছে।’
এদিকে স্পেনের সাংবাদিক হয়েও ভিনিসিয়ুসের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন আলফ্রেডো রেলানো। যদিও শেষ পর্যন্ত ভিনিসিয়ুস এবং রিয়াল মাদ্রিদ ব্যালন ডি’ অর অনুষ্ঠান বয়কট করায় খানিক ক্ষুব্ধ হয়েছেন এই সাংবাদিক, ‘একজনকে অবশ্যই শিখতে হবে কীভাবে হারতে হয়।’ ভিনির হারের কারণ হিসেবে তিনিও সামনে এনেছেন ফেয়ার প্লে ইস্যু।
স্প্যানিশ এই সাংবাদিকের ভাষ্য, ‘ভিনিসিয়ুস অসাধারণ খেলোয়াড়। কিন্তু তার মাঝে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আছে।’
চীন, ভেনেজুয়েলা, চেক প্রজাতন্ত্র, ইতালি, আলবেনিয়া, নরওয়ে, চিলি, ইউক্রেন এবং ক্রোয়েশিয়ার সাংবাদিকরাও ভিনিসিয়ুসের বদলে রদ্রিকেই বেছে নিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রকাশ্যে আসা সাংবাদিকদের মধ্যে স্পেন, মেক্সিকো, পানামা, ব্রাজিল আর মরক্কোর সাংবাদিকের ভোট পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস।
এদিকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে লেকিপে টেলিভিশনকে রিয়ালের অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর এডিটর-ইন-চিফ ভিনসেন্ট গার্সিয়া। তিনি ভিনির পুরস্কার না পাওয়ার পেছনে একই ক্লাবের একাধিক সতীর্থের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে ভিনিসিয়ুস সম্ভবত শীর্ষ পাঁচে থাকা বেলিংহ্যাম ও কারভাহালের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাণিতিকভাবে তাদের কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে গেছে। কারণ জুরি বোর্ডে রিয়ালের ৩-৪ জন থেকে একজনকে ভোট দিতে হয়েছে, তাতে লাভবান হয়েছে রদ্রি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।