মার্সিডিজ বেঞ্চ ভিশন ওয়ান ইলেভেন ধারণাটি গাড়ির ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী প্রোটোটাইপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কনসেপ্ট কারের ধারণা সাধারণত খুব চমৎকার হয়। কিছু কিছু কনসেপ্ট আমাদের নজর কাড়ে। ১৯৭০ সালে যখন এটি চালু হয়েছিল তখন গাড়িটি কেবল চোখের দেখাতেই সুন্দর ছিল না বরং রোটারি এবং ডিজেল ইঞ্জিন প্রযুক্তির সীমা ছাড়িয়ে নতুন কিছু করে দেখানোর প্রচেষ্টা ছিল।
এরকম মোট ১৬টি প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছিল। এ গাড়িকে কোম্পানির ইতিহাসের অন্যতম সেরা অর্জন হিসেবে তুলে ধরা হয়। এ সপ্তাহে মার্সিডিজ ভিশন ওয়ান ইলেভেন কনসেপ্টের কথা সবার সামনে তুলে ধরে।
তবে এদের নকশায় ডিজেল ইনলাইন-ফাইভ বা ওয়াঙ্কেল রোটারি ইঞ্জিন এর কথা উল্লেখ করা নেই। তার পরিবর্তে এটি একটি axial-flux মোটর দ্বারা চালিত হয় যা ইয়াসা নামক মার্সিটিজের একটি বৃটিশ সহায়ক সংস্থা দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।
Merc-এর প্রযুক্তি বস, Markus Schäfer মতে মটোরকে একটি লিকুইড ঠান্ডা নল থেকে শক্তি সরবরাহ করা হয়। Axial-flux মোটর সাধারণত অধিকাংশ গাড়িতে ব্যবহার করা হয় না। মূলত ওজন এবং জায়গা বাঁচানোর জন্য এ ধরনের মোটর ব্যবহার করা হয়।
এই মোটরগুলি একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক প্রবাহ তৈরি করে যা মোটরের ঘূর্ণন অক্ষের সমান্তরালে চলে। এর ফলে ওভারহিটিং হয় না এবং পাওয়ার ডেনসেটি এর জায়গায় উন্নতি ঘটে। আপনি যদি একপাশ থেকে ভিশন ওয়ান-ইলেভেন গাড়িকে দেখেন তাহলে গোলাকার মনে হবে।
এ ধরনের বিবর্তন মার্সিডিসের আধুনিক ডিজাইনের পদ্ধতিকে প্রতিফলিত করে। চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি ইচ্ছা করলে ম্যানুয়ালি গাড়ি চালাতে পারেন অথবা অটো মোড ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানোর ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু ভবিষ্যৎ প্রকল্পের কথা মাথায় রেখে গাড়িটির কনসেপ্ট তৈরি করা হয়েছে কাজেই কিছু দুর্দান্ত ফিচার থাকাটা স্বাভাবিক। ভিশন ওয়ান ইলেভেন প্রজেক্টটি মার্সিডিসের ঐতিহ্যকে ধরে রাখে এবং পরবর্তী জেনারেশনের চাহিদার কথা মনে করিয়ে দেয়।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।