আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান পরমাণু আলোচক আলী বাকেরি-কানি বলেছেন, ভিয়েনা সংলাপ ফলপ্রসূ হওয়ার চাবিকাঠি হচ্ছে ইরানের ওপর থেকে নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছানো। তিনি গতকাল (সোমবার) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের অষ্টম দফা সংলাপের প্রথম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। খবর পার্সটুডে’র।
তিনি বলেন, এবারের বৈঠকে অন্য পক্ষগুলো বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপ প্রধান কর্মকর্তা এনরিক মোরা একথা স্বীকার করেছেন যে, সপ্তম দফা বৈঠকে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে এবং আরো সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য একটি অবকাঠামো তৈরি হয়েছে।
বাকেরি-কানি বলেন, ইরানের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ সংক্রান্ত যে দু’টি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে মঙ্গলবার [আজ] থেকে আলোচনা শুরু হবে।
এদিকে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী এনরিক মোরা সোমবারের বৈঠক শেষে বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভিয়েনা সংলাপে একটি চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সব পক্ষ ইতিবাচক মনোভাব দেখালে কয়েক মাসের প্রয়োজন হবে না বরং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হবে।
আমেরিকা ২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এটি নিয়ে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তার নিরসন করে ওই সমঝোতাকে আবার পুরোপুরি কার্যকর করার লক্ষ্যে এই সংলাপ চলছে।
গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ইরানের সাবেক হাসান রুহানি সরকার পাশ্চাত্যের সঙ্গে ছয় দফা আলোচনা করে। এরপর জুন মাসের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি একই আলোচনা গত ২৯ নভেম্বর শুরু করেন। সেটি ছিল সপ্তম দফা সংলাপ। এরপর গতকাল (সোমবার) থেকে অষ্টম দফা আলোচনা শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।