লাইফস্টাইল ডেস্ক: কোরবানি ঈদের সময় গরু কিংবা খাসির ভুঁড়ি রান্না করা হয় নানাভাবে। বছরের অন্যান্য সময়ও অনেকে ভুঁড়ি খান পছন্দ করে। গরম গরম ভুঁড়ির স্বাদ অতুলনীয়। এর যেমন রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, তেমনি ভুঁড়ি খেলে কেউ কেউ স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ে যেতে পারেন। গরু কিংবা খাসির ভুঁড়ি খাওয়ার আগে কিছু জরুরি তথ্য জেনে নিন।
প্রোটিনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর ভুঁড়ি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে খেলে আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় এটি দারুণভাবে কাজে আসে।
সেলেনিয়ামের একটি চমৎকার উৎস ভুঁড়ি। ডায়েটে পর্যাপ্ত সেলেনিয়াম থাকলে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব এবং আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমে।
মাংসের চাইতেও ভুঁড়িতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। তিন আউন্স ভুঁড়ি থেকে প্রায় ১০৮ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল মেলে, যা দৈনিক কোলেস্টেরলের চাহিদার প্রায় তিনগুণ বেশি।
ভুঁড়িকে বলা হয় লিন প্রোটিন বা চর্বিহীন প্রোটিন। শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করতে এবং পেশী তৈরি করতে সাহায্য করে প্রোটিন। তিন-আউন্স পরিমাণ ভুঁড়িতে ১০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা দৈনিক গড় চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ।
আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক মেলে ভুঁড়ি থেকে।
ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ ভুড়ি খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
গরুর এই অংশে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ভুঁড়ি ঠিক মতো সেদ্ধ ও রান্না করে না খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভুঁড়ি খাওয়া উচিত নয়।
তথ্য: ওয়েবএমডি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।