আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি সংস্থাগুলো। তবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আগুন দেখা দিচ্ছে।
স্থানীয় মেয়র পেগি ব্রেডেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের আগুন লাগা, গ্যাসের লিক ইত্যাদির অনেক খবর এসেছে। অনেকে আহত হয়েছে। অনেক মানুষ বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছে।’’
এর আগে ৩৫ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো দুই দশকের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে আমেরিকার সাউদার্ন ক্যালফর্নিয়ায়। শনিবার রিক্টার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে স্থানীয় কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিধ্বসের কারণে বন্ধ হয়ে যায় অনেক সড়ক।
ভূকম্পবীদ লুসি জোনস বলেন, ‘এটি আগের ভূমিকম্পের একটি ধারা এবং এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।’বিবিসি’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল লস এঞ্জেলসের প্রায় ২৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত রিজক্রেস্ট শহরের কাছে এবং ভূপৃষ্ঠের প্রায় এক কিলোমিটার গভীরে।
বৃহস্পতিবার একই স্থান থেকে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল একই স্থানে ভূপৃষ্ঠের ১১ কিলোমিটার নীচে ছিল।
তিনি আরও জানান, একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার পরের সপ্তাহে একই রকম কিংবা আগেরটির থেকেও বেশি শক্তির ভূমিকম্প আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকে। এই সম্ভাবনার হার শতকরা ১০ শতাংশ হলেও থেকেই যায়।
শনিবারে আঘাত হানা শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় গত ২০ বছরে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, পার্শ্ববর্তী শহর লস ভেগাসেও এটি অনুভূত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।