জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের পাটিয়ালছড়ি এলাকার বন্যাদুর্গত একটি পরিবার। তিন দিন পানিবন্দী থাকার পর গতকাল রোববার কলাগাছের ভেলায় দুই শিশুকে নিয়ে খাবারের খোঁজে বের হয়েছেন বাবা মো. ইয়াছিন। স্ত্রী-সন্তানেরা না খেয়ে আছেন, সেজন্য কলাগাছের ভেলায় করেই খাবার খুঁজছেন তিনি।
ইয়াছিন জানান, গত শনিবার পর্যন্ত তাঁর বাসায় কোনো ত্রাণ যায়নি। তিন দিন ধরে পানিবন্দী থাকার পর গতকাল দুপুরে সাঁতার কেটে গ্রামের অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় আসেন। ত্রাণের আশায় তিনি ঘর থেকে বের হয়েছেন।
ইয়াছিনের মতো ফটিকছড়ির অনেক পরিবার এখনো ত্রাণসহায়তা পায়নি। চট্টগ্রামে ২২ আগস্ট থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়ি অন্যতম। এখানকার অনেক জায়গার বাসাবাড়ির একতলা পর্যন্ত ডুবে গেছে। তিন দিন পানিবন্দী ছিলেন এই উপজেলার মানুষজন। তবে পানি কমে যাওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবীরা গতকাল থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।
গতকাল চট্টগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, মিরসরাই ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে। তবে হাটহাজারীর অনেক এলাকায় এখনো পানি রয়েছে। অনেক মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া বন্যার পানি কমায় বাড়িঘর ও সড়কে ক্ষতচিহ্ন দেখা যাচ্ছে। বাড়ি ও সড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি, মৎস্য, মুরগির খামার ও বিদ্যুতের ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সাদি-উর-রহিম জাদিদ জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে মজুত রয়েছে ১ হাজার ৩০০ টন চাল ও ৩৫ লাখ টাকা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য মজুত রাখা আছে ৯০৫ টন চাল ও ২৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩৯৫ টন চাল ও ৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি শুকনো খাবারও দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ থাকার পরও পানি বেশি হওয়ায় কয়েকটি স্থানে ত্রাণ পৌঁছাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ স্থানে পৌঁছানো হচ্ছে।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.