‘ভেড়ার পাঠা ফুটবল টুর্নামেন্ট’, দুই দলেই বিদেশি খেলোয়াড়

'ভেড়ার পাঠা ফুটবল টুর্নামেন্ট', দুই দলেই বিদেশি খেলোয়াড়

জুমবাংলা ডেস্ক : ফুটবল কিংবা ক্রিকেট খেলায় বিজয়ী দলের মাঝে পুরস্কার হিসেবে গোল্ডেন কাপ, ফ্রিজ, মোটরসাইকেলসহ নগদ অর্থ দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। তবে পুরস্কার প্রদানে এবার চমক দেখাল মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার দুর্গম আলোকদিয়া চর। বিজয়ী দল শিরোপা হিসেবে বুঝে নিয়েছে একটি পাঠা ভেড়া বা ভেড়ার পাঠা। এ টুর্নামেন্টের নামই দেওয়া হয়েছে ‘ভেড়ার পাঠা ফুটবল টুর্নামেন্ট’।

'ভেড়ার পাঠা ফুটবল টুর্নামেন্ট', দুই দলেই বিদেশি খেলোয়াড়
ছবি সংগৃহীত

আলোকদিয়া যুবসংঘের উদ্যোগে গতকাল সোমবার বিকেলে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোকদিয়া চর যুব সংঘ তেওতা দল কাশিদারামপু বাঘুটিয়া ইউনিয়ন ফুটবল একাদশকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। বিজিত দলকে পুরস্কারও দেওয়া হয় ভেড়ার পাঠা। এই খেলা পাঁচ সহস্রাধিক লোক উপভোগ করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার যমুনার পারে দুর্গম আলোকদিয়া চরে স্থানীয় এলাকাবাসী ভেড়ার পাঠা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। নক আউট ভিত্তিতে খেলায় আটটি দল অংশ নেয়। খেলার মূল আকর্ষণ ছিল ফাইনালে পুরস্কার ভেড়ার পাঠা। দুই দলই বিজয়ী হতে মরিয়া ছিল, হোক না পুরস্কার ভেড়ার পাঠা। আত্মমর্যাদা রক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খেলোয়াড় ভাড়া করে আনে উভয় দল। দুই দলে বিভিন্ন ক্লাবের ছাড়াও কয়েকজন বিদেশি খেলোয়াড় দেখা গেছে। লক্ষ্য একটাই, পুরস্কার ভেড়া নেওয়া। খেলোয়াড় আনার জন্য হাট-বাজার এবং গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে টাকা জমা করে তারা।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, এ খেলাকে কেন্দ্র করে আমরা অনেক পরিকল্পনা করেছিলাম, কিভাবে জয়লাভ করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা দলে বিদেশি খেলোয়াড় এনেছিলাম। একটা সময় ছিল যখন এই চরাঞ্চলের ভূমিহীন ও জোতদাররা প্রকাশ্যে নিজেদের আধিপত্য নিতে হানাহানি-মারামারিতে ব্যস্ত থাকত। প্রতিবছর আট-দশজন লোক নিহতের ঘটনা ঘটত। তবে এক যুগ ধরে এমন ঘটনা ঘটছে না। আমরা এ খেলায় জয়লাভ করাটাকে বিশাল সম্মানের বিষয় ধরে নিয়েছি।

খেলায় আলোকদিয়ার পক্ষে আফ্রিকার গিনি থেকে আসা উসমান দুটি এবং চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের মাসুম এক গোল করেন।

চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম