আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘে ইরানের নির্ধারিত অর্থ বকেয়া পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে। তিনি বলেছেন, “দুঃখজনকভাবে আমেরিকার অবৈধ ও নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞার কারণে পরপর দুই বছর জাতিসংঘের ইরানের প্রদেয় অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।” জাতিসংঘে ইরানসহ আট দেশের ভোটাধিকার স্থগিত হয়ে গেছে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইরানের এই মুখপাত্র এ বক্তব্য দিলেন। খবর পার্সটুডে’র।
তিনি বুধবার তেহরানে আরো বলেন, জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদেশ হিসেবে ইরান সব সময় এই সংস্থাকে নির্ধারিত অর্থ সময়মতো পরিশোধ করে এসেছে। এমনকি জাতিসংঘের অধীনস্ত অন্যান্য সংস্থার কোনো অর্থও কখনো বকেয়া পড়েনি।
খাতিবজাদে আরো বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞর কারণে ইরানে অর্থসংকট থাকা সত্ত্বেও জাতিসংঘকে প্রদেয় অর্থ প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞার কারণেই ব্যাংকিং লেনদেন সম্ভব না হওয়ায় প্রস্তুতকৃত অর্থ পরিশোধ করা যাচ্ছে না। তবে জাতিসংঘের কাছে ওই অর্থ পৌঁছে দেয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে দেনদরবার চালাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খাতিবজাদের এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে পশ্চিমা সংবাদ সংস্থাগুলো খবর দিয়েছে, সময়তো সদস্যপদের ফি পরিশোধ না করায় ইরানসহ আটটি দেশের ভোটদানের ক্ষমতা স্থগিত করেছে জাতিসংঘ। ইরানের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে আমেরিকার ইরানবিরোধী অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের কুফল বলে বর্ণনা করেছেন পর্যবেক্ষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।