ভোলা শহরের আবাসিক হোটেল থেকে মো. আমির হোসেন (৩৪) নামের এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত আমির হোসেন ভোলার লালমোহন উপজেলার পৌরসভা ১নম্বর ওয়ার্ডের মহসিন তালুকদারের ছেলে। তিনি লালমোহন পৌরসভা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় সদর রোডের হোটেল কে জাহানের ২০২ নম্বর কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮টায় শহরের হোটেল কে. জাহানের তৃতীয় তলার ২০২ কক্ষে ওঠেন আমির হোসেন। ২৬ ডিসেম্বর রাতে হোটেলের লোকজন রুম চেক করতে গিয়ে দরজা নক করলে ওই রুমের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশকে খবর দেয়। সদর থানা পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আমির হোসের মরদেহ ঝুলতে দেখে। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের বড় ভাই মো. জাকির হোসেন জানান, আমির হোসেন লালমোহনে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে আছে। ধারদেনার কারণে ব্যবসা বন্ধ রেখে বর্তমানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ দেখাশোনার চাকরি করেন। হাতিয়া ও লক্ষ্মীপুরে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ চলমান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে হাতিয়া যাওয়ার কথা বলে রওনা করেন। পরে শুক্রবার রাতে তারা খবর পান ভোলা শহরের হোটেল থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এক নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার ব্যবহৃত মোবাইলে সেটির প্রমাণও পাওয়া গেছে এবং ওই নারী হোটেলে এসেছে বলেও তারা জানতে পেরেছেন। তার অভিযোগ, পরকীয়ার কারণে ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারণ উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



