আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও স্বাভাবিকভাবেই মারা গেছেন এক মার্কিন নাগরিক। এমনকি এই বর্বর খুনিকে জনপ্রিয় টেলিভিশন ডেটিং শো-তেও অংশ নিতে দেখা গেছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) ভোরে ক্যালিফোর্নিয়ার কোরকোরান রাজ্য কারাগারের কাছে একটি হাসপাতালে মারা যান ৭৭ বছর বয়সী রডনি আলকালা।
বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ক্যালিফোর্নিয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। ১২ বছর বয়সী একটি শিশু ও চার নারীকে হত্যার দায়ে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। রোববার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশন শোতে অংশ নেওয়ার পর তিনি ‘ডেটিং গেম কিলার’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।
ক্যালিফোর্নিয়া ছাড়াও নিউইয়র্কের কয়েকজন নারীকে হত্যার দায় স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে রোবিন সামসোই নামের একটি শিশুকে অপহরণ ও হত্যা করেন আলকোলা। পরের বছর অরেঞ্জ কাউন্টিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু রাজ্যটির সুপ্রিমকোর্টে ওই মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে ফের বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় বিচারেও তিনি রেহাই পাননি, একই সাজা দেওয়া হয়েছিল। ২০০৩ সালে সেই বিচারও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
পরের বছরগুলোতে ফরেনসিক পরীক্ষায় ক্যালিফোর্নিয়ায় কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার যোগসাজশ পাওয়া যায়। এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার ডিএনএ মিলে যায়। ২০১০ সালের বিচারে রোবিন সামসোইসহ আরও চারটি হত্যাকাণ্ডে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে এই সিরিয়াল কিলার যাদের হত্যা করেন, তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।
১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকান টিভি শো ‘দ্য ডেটিং গেমে’ অংশ নিয়ে পরিচিতি পেয়ে যান আলকালা। ২০১২ সালে তাকে নিউইয়র্কের কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। রাজ্যটিতে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে আরও হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
২০১৩ সালে তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ার পর নিউইয়র্কে তার সাজা যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে পঁচিশ বছর করা হয়েছিল।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাকে সন্দেহ করা হতো বলে জানিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার কারা কর্মকর্তারা। তবে তার মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ক্যালিফোর্নিয়ার কারগারে এখন পর্যন্ত ৭০০ বন্দি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু এসব মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নে সময় নিচ্ছেন রাজ্য গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।