জুমবাংলা ডেস্ক: খেজুরের গুড় তৈরির প্রধান ও একমাত্র উপাদান হলো খেজুর গাছ থেকে নিঃসৃত রস। যা বিশেষ প্রক্রিয়ায় জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় তরল বা নরম গুড় ও পাটালি। তবে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একটি কারখানায় ভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছিল গুড়। অধিক মুনাফার আশায় চিনি, চুন, ডালডাসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল খেজুরের গুড়!
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলার থানাধীন আড়ানী চকরপাড়া এলাকার ওই কারখানায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় সাতজনকে।
আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অভিযানের বিস্তারিত জানান জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন, কারখানাটি থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ৫০ মণ ভেজাল খেজুরের গুড় জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি গুড় তৈরির জন্য মজুদ করা ১০ বস্তা চিনি, ১৮ কেজি ফিটকিরি, ২৫ কেজি চুন, ৬০০ গ্রাম ডালডা, এক কেজি হাইড্রোজসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় কারখানার মালিক রকিব আলী (৪২), তার সহযোগী সুমন আলী (৪২),অনিক আলী ওরফে পাইলট (৩০), মাসুদ রানা (৩০), বিপ্লব হোসেন ওরফে সাজু (২৫), মামুন আলী (২৭) ও মো. বাবু (২৫) নামে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই আড়ানী চকরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার জানান, গত কয়েক মাস ধরে ওই কারখানায় চিনি, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকেরি, ডালডা ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করা হচ্ছিল। এ গুড় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও বাজারজাত করা হচ্ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে কেবল খেজুরের গুড় নয়, আখ মৌসুমে ভেজাল আখের গুড়ও তৈরি করে বাজারজাত করতেন সংশ্লিষ্টরা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতার সাতজনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।