আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমাজন বনে দুটি নতুন প্রজাতির ইলেকট্রিক ইলের সন্ধান মিলেছে। যাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা মারাত্মক। সোজা কথায় বলতে গেলে, এই ভয়ঙ্কর ইলের একটা ছোবল খেলেই মৃত্যু নিশ্চিত। এমনমটাই দাবি করছে বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর মোট চাহিদার ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে যে অরণ্য, যে অরণ্যকে বলা হয় ‘পৃথিবীর ফুসফুস’, তার এই পরিণতিতে রীতিমতো আতঙ্কিত পরিবেশবিদেরা। প্রাণিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই দাবানলের মধ্যেও নতুন প্রজাতির ইলেরা এখনও বেঁচে রয়েছে সেটাই আশ্চর্যের। যদি এই প্রজাতি বেঁচে থাকার লড়াইয়ে জিতে যায়, তাহলে প্রাণিবিজ্ঞানের গবেষণায় এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।
স্মিথসোনিয়াম ন্যাশনাল মিউজিয়ামের প্রাণিবিদ সি ডেভিড দে সান্টানা জানিয়েছেন, গত ৫০ বছর ধরে এই প্রজাতিরা আমাজন অববাহিকায় বাসা বেঁধেছে। ইলেকট্রোফোরাস ভোল্টাই বা ইলেরা সাধারণত ৬-৭ ফুট লম্বা হয়, ওজনে হয় ১৫-২০ কিলোগ্রাম। নতুন এই দুই প্রজাতি লম্বায় আরও কিছুটা বেশি, ওজনেও ভারী। তবে মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায়।
এক একটি ইল মাছ ৫০০-৮০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এই বিদ্যুৎ প্রবাহর পরিমাণ প্রায় ১ অ্যাম্পিয়ার এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ চলে ১-২ মিলি সেকেন্ড পর্যন্ত। শিকার ধরার সময় বা শত্রুপক্ষের আগমন টের পেলে, আত্মরক্ষার জন্য এই কারেন্ট তারা ব্যবহার করে। বিপদ বুঝলেই মস্তিষ্ক বার্তা পাঠায় স্নায়ুমণ্ডলে। খুলে যায় আয়ন চ্যানেল। সোডিয়ামের প্রবাহে বিদ্যুৎ তৈরি হয় অনেকটা ব্যাটারির মতো। সেই বিদ্যুতের শক দিয়েই শত্রুকে কাবু করে ফেলে ইলেরা। প্রাণিবিদরা জানিয়েছেন, নতুন প্রজাতির এই ইল আরও বেশি ক্ষিপ্র। এদের বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে এক একবারে এরা ৬৫০-৮৬০ ভোল্ট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।