মঙ্গল গ্রহের বিষুব রেখার কাছে বেশ রহস্যময় একটি অঞ্চলের সন্ধান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গল গ্রহে থাকা মাকড়সার জালটি আসলে একধরনের স্ফটিকযুক্ত খনিজের কাঠামো। কাঠামোটি ৬ থেকে ১২ মাইলজুড়ে প্রসারিত। এ ধরনের কাঠামোকে বক্সওয়ার্ক বলে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন গুহার ভেতরেও দেখা যায়।
পৃথিবীতে থাকা বিভিন্ন গুহার ছাদে ক্যালসিয়াম কার্বনেটযুক্ত খনিজ পানির কারণে ফাটল তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে স্ফটিকে পরিণত হয়। অন্যদিকে মঙ্গল গ্রহেও এ ধরনের কাঠামো রয়েছে। তবে মঙ্গল গ্রহের প্রায় ৩ হাজার ৮০০ একরজুড়ে অবস্থিত বক্সওয়ার্ক পৃথিবীর থেকে বেশ আলাদা। এসব কাঠামো সমুদ্রের পানির মাধ্যমে তৈরি হওয়ায় সেখানে প্রাচীন জীবনের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক কারস্টেন সিবাচ জানিয়েছেন, এ ধরনে কাঠামোতে আদি যুগে জীবাণু বেঁচে থাকতে পারত। আর তাই এসব জালে প্রাচীন জীবাণুর জীবাশ্মের প্রমাণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এমন ক্রিস্টাল ক্ষেত্র তৈরি করতে কমপক্ষে ১১৩ বিলিয়ন গ্যালন লবণাক্ত ও উষ্ণ খনিজ বোঝাই পানির প্রয়োজন।
নাসার গবেষকদের ধারণা, বৃহদাকার এমন ভূতাত্ত্বিক মাকড়সার জাল প্রথম মার্স রিকনেসান্স অরবিটার স্যাটেলাইটের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ২০০৬ সালে। বিজ্ঞানী সিবাচ বলেন, মঙ্গল গ্রহের জলজ জীবাণুর প্রমাণ এই বিশাল জালের কাঠামোতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জাল আকৃতির কাঠামো একটি তিন মাইল লম্বা এওলিস মন নামের পাহাড়ের ছায়ায় অবস্থিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।