বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: কথা ছিল ৫ বার সে ওড়ার চেষ্টা করবে। সেটা করতে পারলেই যথেষ্ট। আদৌ মঙ্গলগ্রহের আকাশে ওড়া যায় কিনা সেটাই ছিল দেখার। সেজন্য নাসা ২০২১ সালে পারসিভিয়ারেন্স মার্স রোভারের সঙ্গে একটি হেলিকপ্টার পাঠায় লাল গ্রহে।
ঠিক ছিল পারসিভিয়ারেন্স মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবে আর হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়ে দেখবে মঙ্গলে ওড়া যাচ্ছে কিনা। কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা।
এজন্য বিজ্ঞানীরা ওই ছোট্ট হেলিকপ্টারটিকে সর্বোচ্চ ৫ বার ওড়ার জন্য তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলে উড়তে শুরু করার পর দেখা যায় হেলিকপ্টারটি ৫ বার অতিক্রম করে তারপরেও বারবার উড়তে সক্ষম হচ্ছে লাল গ্রহের আকাশে।
বরং যতবারই সে উড়েছে আগের বারের চেয়ে বেশি উচ্চতায় পৌঁছেছে। এভাবে ৫২ তম উড়ানে সেটি পৌঁছে যায় ১ হাজার ১৯১ ফুট উচ্চতায়।
সেখান থেকে মঙ্গলগ্রহকে কার্যত পাখির মতই দেখতে থাকে সেটি। যা নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে কার্যত মেঘ না চাইতেই জলের মত পারফর্মেন্স ছিল।
সেই হেলিকপ্টারটি গত ২৬ এপ্রিল ওড়ার পর সেই যে নেমে আসে তারপর থেকে তার সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নাসার। এরপর থেকে নাসার বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা করেও হেলিকপ্টারটির সঙ্গে আর যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি।
২ মাস এমন করে অতিবাহিত হয়ে যায়। নাসাও প্রায় হাল ছেড়েই দিয়েছিল। যদিও দুঃখ ছিলনা। কারণ যে কাজে হেলিকপ্টারটিকে পাঠানো হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ সে করে ফেলেছে।
কিন্তু আচমকাই ফের সেটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হয় নাসার। তাও ২ মাস পার করে। এ এক বড় পাওনা হিসাবেই দেখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।