নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহের ভূ-পৃষ্ঠের নিচে তরল পানির একটি বড় হ্রদ শনাক্ত করেছে। এই আবিষ্কারটি হয়েছে গত মাসে রোভারের রাডার ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে। লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে এই আবিষ্কার একটি যুগান্তকারী মাইলফলক।
এই হ্রদটি মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুর কাছে জেজেরো ক্রেটার এলাকায় অবস্থিত। নাসার বিজ্ঞানীরা রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। তারা নিশ্চিত করেছেন, পানির এই উৎস প্রায় এক কিলোমিটার গভীর।
জীবন সন্ধানে নতুন দিগন্ত
পারসিভিয়ারেন্স রোভারের RIMFAX রাডার ব্যবহার করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। রাডার ডেটায় দেখা গেছে, বরফের নিচে তরল পানির একটি স্থিতিশীল স্তর রয়েছে। পানির এই হ্রদের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকলেও লবণের উপস্থিতি তা তরল রাখছে।
মঙ্গলে পূর্বে বরফ আকারে পানি পাওয়া গেলেও এটিই প্রথম তরল পানির বৃহৎ উৎস। নাসার বিজ্ঞানী ড. লিসা ম organ mengatakan, “এই আবিষ্কার মঙ্গলে প্রাণের সম্ভাবনা সম্পর্কে আমাদের ধারণা বদলে দিয়েছে।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে মিশনে এই হ্রদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
মানব অভিযানের জন্য সম্ভাবনা
এই আবিষ্কার মঙ্গলে মানব অভিযানের পরিকল্পনাকেও ত্বরান্বিত করবে। তরল পানি মানব উপনিবেশের জন্য অপরিহার্য। এটি অক্সিজেন ও রকেট জ্বালানী উৎপাদনেরও উৎস হতে পারে। নাসা ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানব অভিযান প্রেরণের পরিকল্পনা করছে।
মঙ্গলের এই পানির হ্রদে অনুজীবের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। পৃথিবীতে অনুজীবসমৃদ্ধ হ্রদের সাথে মঙ্গলের এই হ্রদের মিল পাওয়া গেছে। আগামী বছরেই নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বিশেষ যন্ত্র পাঠানোর কথা ভাবছে নাসা।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় প্রভাব
এই আবিষ্কার আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছে। ESA এবং রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি যৌথভাবে নতুন মিশনের পরিকল্পনা করছে। চীনও তাদের তিয়ানওয়েন-৩ মিশনে এই এলাকা নিয়ে গবেষণা করবে।
মঙ্গল গ্রহে পানির হ্রদ আবিষ্কার সত্যিই যুগান্তকারী। এটি আমাদের মহাবিশ্বে একাকীত্ব সম্পর্কে ধারণা বদলে দিতে পারে। ভবিষ্যত গবেষণাই বলতে পারবে এই লাল গ্রহে কি কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল।
জেনে রাখুন-
মঙ্গল গ্রহে পানির হ্রদ কে আবিষ্কার করে?
নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার এই হ্রদ আবিষ্কার করেছে।
মঙ্গলের পানি কি মানুষের ব্যবহারযোগ্য?
শোধন করার পর এই পানি ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।
মঙ্গলে জীবন খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
এই আবিষ্কারের পর সম্ভাবনা অনেক বেড়েছে।
মঙ্গলের পানির হ্রদ কতটা গভীর?
হ্রদটি প্রায় এক কিলোমিটার গভীর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।