গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাশাকৈর এলাকায় ধর্ষণের পর এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) দুপুরে ভাড়া বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষক রাফিকে (১৬) আটক করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার বাশাকৈর এলাকার রাসেল হোসেনের স্ত্রী সেতু আক্তার (১৯)।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে ছানোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেলের সঙ্গে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিলিমনগর এলাকার আজাহার সিকদার মেয়ে সেতু আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এ কারণে তারা পাশে বাশাকৈর এলাকার লিয়াকত হোসেনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতেন। কিন্তু তাদের কলহ থেমে ছিল না। এর মধ্যেই ভাড়া বাসার পাশের বাড়ির রহুল আমিনের বোনের ছেলে রাফির সঙ্গে সেতুর সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিশোর রাফি ও গৃহবধূ সেতু সম্পর্কে ভাগ্নে ও খালা।
জানা গেছে, পাঁচ দিন আগে ঝগড়া করে স্বামী রাসেল ভাড়া বাসা থেকে বাবার বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে সেতুর একা থাকার খবর পেয়ে রাফি সোমবার (২৪ মে) দুপুরে মামা রহুলের বাড়ি আসে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ ও মামার বাড়ির লোকজন খাবার-দাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু ওই কিশোর ও গৃহবধূ না ঘুমিয়ে গভীর রাতে রহুলের পূর্বপাশের কাঠের ঘরে ঢুকেন। এসময় রাফি সেতুকে ধর্ষণ করে। কিন্তু সে রাতে সেতু বলে যে ঘটনাটি সকালে সবাইকে জানিয়ে দিবেন। এ কথা শুনে কিশোর রাফি ক্ষেপে যায় ও কাঠের টুকরো দিয়ে সেতুর মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে ওই গৃহবধূ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ভাড়া বাড়ির পাশের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোর রাফিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।