জুমবাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। চলতি বাজেট অধিবেশন শেষে যেকোনো সময় এই অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি সীমিত আকারে আবারও মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে।
সরকার ও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে করা জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠের আজকের সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল রবিবার জাতীয় দৈনিকটিকে বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এমন (অন্তর্ভুক্তি) কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না তা আমি জানি না। তবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর এই মন্ত্রণালয় এখন মন্ত্রীশূন্য। অথচ সামনে হজ মৌসুম। এ অবস্থায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু বাজেট অধিবেশন চলায় বিষয়টি থেমে আছে। সরকারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজেট নিয়ে ব্যস্ততা কমলেই এই মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের সম্ভাবনাই বেশি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাত। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সচিবকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনায় সরকারের উচ্চ পর্যায় অসন্তুষ্ট। সে কারণে এই মন্ত্রণালয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর বাইরেও যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ওই সূত্রটি জানিয়েছে।
টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুজনের ঠাঁই হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান জাহিদ মালেক এবং প্রতিমন্ত্রী হন ডা. মুরাদ হাসান। পরে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর ফলে মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আর নতুন করে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
গত বছর ১৩ জুলাই সর্বশেষ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়। ওই দিন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আর প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ পদোন্নতি পেয়ে মন্ত্রী হন। তারপর মন্ত্রিসভায় আর নতুন কেউ যুক্ত হননি। কোনো রদবদলও হয়নি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর গত বছরের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে। ওই দিন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী নিয়ে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৮।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।