মরিচের বাম্পার ফলন, দ্বিগুণ লাভে খুশি চাষিরা
জুমবাংলা ডেস্ক: কেন্দুয়ার কৃষি পণ্যের মধ্যে মরিচ অন্যতম অর্থকরী ফসল। অনুকূল পরিবেশে মরিচ চাষে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার মোজাফফরপুর,কান্দিঊড়া,চিরাং ইউনিয়নেই কাচা মরিচের চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এবার উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে হয়েছে মরিচের চাষ। এখানকার হাওর এলাকার জমি বালিযুক্ত পলিমাটি হওয়ায় অন্য ফসলের চেয়ে মরিচ উৎপাদন তুলনামূলক বেশি লাভজনক। গত মৌসুম থেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে কাঁচা মরিচ বিক্রির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে শুকনা মরিচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ক্ষেত থেকে ৮০-৯০ টাকা দরে পাইকাররা কিনে নিচ্ছেন।
বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে আগাম আবাদ করছেন তারা। আর কাঁচা মরিচ বিক্রি করে বিঘা প্রতি প্রায় দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন। প্রতি বিঘায় কাঁচা মরিচের ফলন হয় ৩০ মণ। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৯০ হাজার টাকা। এতে কৃষকও এখন কাঁচা মরিচ তুলে বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।
কান্দিউড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের কৃষক রফিক বলেন, গত তিন বছরে ২ একর জমিতে মরিচ আবাদ করে শুকিয়ে বিক্রি করেছি ১ লাখ ১৫-২৫ হাজার টাকা। কিন্তু এবার একই পরিমাণ জমির কাঁচা মরিচ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আরো ৫০-৬০ হাজার টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করবো। কাঁচা মরিচ শেষ হওয়ার পরে আরো ৫০-৫৫ হাজার টাকার শুকনো মরিচ বিক্রি করতে পারব।পাইকাররা ট্রাক নিয়ে এসে মরিচ পাইকারি কিনে নিয়ে যায়।
মোজাফফর পুর ইউনিয়নের চারিতলা গ্রামের কৃষক রাসেল বলেন, কাঁচা মরিচ বিক্রির ফলে আমি প্রায় দ্বিগুণ লাভ পেয়েছি। এতে ফসল ঘরে তুলতে সময়ও লাগছে কম। তাছাড়া নিয়মিত পাইকার এসে ক্ষেত থেকেই কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের শ্রমিক খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে এখন এলাকার অনেক কৃষকই মরিচ একটু আগাম আবাদ করে কাঁচা মরিচই বিক্রি করছেন।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাজাহান কবীর বলেন, এবছর উপজেলা ২শত ২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।কাঁচা মরিচকে শুকিয়ে প্রসেস করার পরে বিঘা প্রতি যে ফলন ও দাম পাওয়া যায়, তার তুলনায় কাঁচা মরিচে সার্বিক লাভ বেশি হয়। তাই কৃষকরা এখন এদিকেই ঝুঁকছেন। এ পদ্ধতি এখন কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।