জুমবাংলা ডেস্ক : ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা নারী মৃতদেহের সাথে বিকৃত যৌনাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী ডোম মুন্না ভগতকে আবারো ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুই মামলায় মুন্নাকে ২ দিন করে মোট ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
সোমবার মুন্নাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। ২ মামলায় আসামি মুন্নাকে ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান তিনি।
গত বছর ১৯ নভেম্বর সিআইডির ইন্সপেক্টর জেহাদ হোসেন বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০ নভেম্বর আসামি মুন্না আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই দিন জবানবন্দিতে অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করলেও সে কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নয় বলে জানায়। মুন্না বলে, রাতে মর্গে সে একাই থাকত। নিরিবিলি পরিবেশ এবং কোনো লোকজন না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। তার ভাষায়, ‘মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দোষের কিছু না।’
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের বিশ্লেষকরা ‘কোডেক্স’ নামে সফটওয়্যারে ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখতে পায় ৫টি মৃতদেহে একই ব্যক্তির ডিএনএ। পাঁচ ভিক্টিমই কিশোরী। তাদের বয়স যথাক্রমে- ১১, ১৩, ১৪, ১৬ এবং ১৭ বছর। সবগুলোই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা। ৫টি আত্মহত্যার মধ্যে ৪টি মিরপুর এবং ১টি ঘটেছে মোহাম্মদপুর এলাকায়। ২টি ঘটেছে ২০১৯ সালের মার্চ ও অক্টোবর মাসে। বাকি তিনটির একটি এ বছরের মার্চ ও ২টি আগস্ট মাসে ঘটেছে। সময়, এলাকা, বয়স ও লিঙ্গ একই ধরনের হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সিআইডির ধারণা হয় ভিক্টিমরা কোনও সিরিয়াল কিলারের শিকার।
২০১৫ সালে হাইকোর্ট এক আদিবাসী নারীর অপমৃত্যু মামলার রায়ে এক ঐতিহাসিক নির্দেশ দেন। তাতে বলা হয়, কোনো নারীর অপমৃত্যু হলে, তাদের যৌনাঙ্গ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে হবে। দেখতে হবে অপমৃত্যুর আগে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা। তারপর থেকে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব আদালতের নির্দেশ মেনে আসছে।