মস্তিষ্কের সব অসাধারণ কাজ, যা জানলে আপনিও অবাক হবেন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মানবদেহ পরিচালিত হয় মস্তিষ্ক থেকে। এটিকে ‘কমান্ডিং সেন্টার’ বলা হয়ে থাকে। মস্তিষ্ক বা মগজ মানবদেহের সবচেয়ে কার্যকরী অঙ্গ। ইংরেজিতে ব্রেন বা গ্রে ম্যাটার। মানব মস্তিষ্ক- স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় অঙ্গ।

এই মস্তিষ্ক মানবদেহের সিংহভাগ কার্যকলাপই নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, কিছু বিশেষ কাজের জন্য মানব মস্তিষ্ককে অসাধারণ বিশেষণ দিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস। হাঁটাচলাসহ শরীরে বিভিন্ন গতিবিধিকে ত্বরান্বিত করতে মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরন রাসায়নিক এবং একই সাথে বৈদ্যুতিক সংকেত প্রেরণ করে।

আর সংকেতগুলো তৈরি হয় চারপাশ থেকে তথ্য আহরণ ও মস্তিষ্কে বিশ্লেষণের মাধ্যমে। মস্তিষ্কে তৈরি রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক সংকেতগুলো একটি কোষ থেকে অন্য কোষে ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে স্থানান্তরিত হচ্ছে।

বলতে গেলে এই অঙ্গটি একটি মহাসড়কের মতো কাজ করে।তিন পাউন্ডের এই মস্তিষ্কে প্রায় ৪০০ মাইলের মতো দীর্ঘ রক্তের শিরা-উপশিরা, প্রায় এক ট্রিলিয়ন গিলাল কোষ এবং ১০০ বিলিয়নের মতো কোষ রয়েছে। অর্থাৎ, মস্তিষ্কে এক সাথে অনেক গুলি কোষ কাজ করছে অনায়াসে। ঘুমন্ত কিংবা সজাগ দুটি অবস্থাতেই এই অঙ্গটি চব্বিশ ঘণ্টাই সচল থাকে।

মানব মস্তিষ্ক সারাক্ষণই কাজ বা চিন্তাভাবনা করে যাচ্ছে। গবেষকগণদের ধারণা প্রতিদিন একটি মস্তিষ্ক প্রায় ৭০ হাজার চিন্তা করে। অর্থাৎ মস্তিষ্ক সর্বদাই চিন্তাশীল। নতুন কোন ভাষা শেখা, বা ব্যায়ামের মতো কোনো কার্যক্রম বা বিভিন্ন কৌশল মস্তিষ্ক বা গ্রে-ম্যাটার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

এখন থেকে চোখের রেটিনা পরীক্ষায় মিলবে অসুখ আর আয়ুর আভাস!

যে কোষগুলোই পরবর্তীতে কৌশলগুলি প্রকিয়াকরণ করে। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় সারাজীবনই নতুন কোষ তৈরি হয়। কার্যক্রমটি কমপক্ষে ৯৭ বছর পর্যন্ত চলছে বলেই ধারণা করছেন গবেষকরা।