পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ মানুষের দ্বারা জয় করা হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেল। পাশাপাশি সেখানে নানা স্মৃতিচিহ্ন রেখে আসা হয়েছে। এভাবে নানা কারণে চাঁদে চার লাখ টন আবর্জনা জমা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃত চাঁদে মহাকাশচারীরা অনেক বস্তু রেখে এসেছেন।
ভাঙ্গা মহাকাশযান, ল্যান্ডার, হালকা এবং ভারী যন্ত্রাংশ ইত্যাদি সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সেখানে গলফ খেলার উপাদান এবং পতাকা ফেলা হয়েছে। মহাকাশচারীরা নিজেদের পরিবারের ছবিও সেখানে রেখে এসেছেন। তাছাড়া স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আরো অনেক কিছু সেখানে ফেলেছেন তারা।
সেখানে মহাকাশচারীদের আবর্জনার অনেক ব্যাগ স্তূপ আকারে জমা হয়েছে। এ ধরনের ৯৬ টি মানব বর্জ্য ব্যাগের দেখা মিলবে। মহাকাশযানের যেন বাড়তি ওজন বহন করতে না হয় সেজন্য এভাবে বর্জ্য সেখানে ফেলা হয়েছে।
চাঁদে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পা রাখা অল্ড্রিন এ নিয়ে টুইট করেছিলেন। বিভিন্ন দেশের পতাকা, বাজ পাখির পালক, অ্যালুমিনিয়ামের হাতুড়ি সেখানে খুঁজে পাবেন। আমেরিকানরা সেখানে একটি ছোট পরীক্ষা চালিয়েছিল।
পাখির পালক এবং অ্যালুমিনিয়ামের হাতুড়ি একই উচ্চতা থেকে ফেলে দেওয়া হলে তারা একসাথে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে কিনা তা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় যে, পালক এবং হাতুড়ি একই সময়ে মাটি স্পর্শ করে।
এলেন শেফার্ড চাঁদ এ গিয়ে গলফ খেলেছিলেন। তিনি জানান যে, বল অনেক দূরে গিয়ে পড়েছিল। কোন কোম্পানির বল ছিল সেটি তিনি বলতে নারাজ। কেননা এক তথ্য এর মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা করা সম্ভব হতে পারে।
অ্যালুমিনিয়ামের ভাস্কর্য চাঁদের মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ভাস্কর্য বেলজিয়ামে তৈরি করা হয়েছিল। এ বিশেষ ভাস্কর্য তাদের স্মরণে বাড়ানো হয়েছিল যারা মূলত মার্কিন এবং সোভিয়েত অভিযাত্রী ছিলেন।
বুট, টিভি ক্যামেরা, ফিল্ম ম্যাগাজিন, বেলচা, ব্যাকপ্যাক, রুমাল, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, খাবারের খালি প্যাকেট সহ আরো অনেক কিছু ফেলে আসা হয়েছে। এভাবে অধিকাংশ জিনিস এখানে বর্জ্য হিসেবে রয়ে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।