পৃথিবীর আকর্ষণ কাটিয়ে মহাশূন্যে পৌঁছানোর কাজটি আরও কঠিন। শুধু শক্তি হলেই হয় না, প্রয়োজন গণিত ও বিজ্ঞান। এই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে গত শতক থেকেই মানুষ মহাশূন্যে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। নানা সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে কখনো প্রকৃতির নানা রহস্য ভেদ করেন বিজ্ঞানীরা, কখনো খুঁজে ফেরেন জীবনকে আরেকটু সহজ করার উপায়। সেসব উপায় ও প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ ও আনন্দময় করেছে। চলুন, জেনে আসা যাক সেই ৫ প্রযুক্তির কথা।
পানি বিশুদ্ধকরণ সিস্টেম
১৯৬০ সালে নাসা নভোচারীদের খাবার পানি বিশুদ্ধ করার জন্য তৈরি করে ইলেকট্রোলাইটিক সিলভার আয়োডাইজার। প্রযুক্তিটি এখন সুইমিংপুলে ব্যাকটেরিয়া নাশে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়।
ডাস্ট বাস্টার/ধুলা পরিষ্কারক
চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি হালকা যন্ত্রের প্রয়োজন ছিল নাসার। ব্ল্যাক অ্যান্ড ডেকারকে এ ধরনের একটি যন্ত্র তৈরির দায়িত্ব দেয় তারা। ১৯৭৯ সালে নিজেদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ডাস্ট বাস্টার তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এ যন্ত্র ধুলা পরিষ্কারের কাজে পুরো পৃথিবীজুড়ে ব্যবহৃত হয়।
ওয়্যারলেস হেডফোন
যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে যেসব প্রতিষ্ঠান ছিল, তাদের মাঝে নাসা অন্যতম। নভোচারীদের হাত-পা যেন তারে জড়িয়ে না যায়, এজন্য তারা উদ্ভাবন করে তারবিহীন হেডফোন। আর আজ আমরা তারবিহীন হেডফোন ব্যবহার করে গান শুনি প্রতিনিয়ত।
কম্পিউটার মাউস
কম্পিউটারকে কীভাবে আরও ইন্টারঅ্যাক্টিভ করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছিলেন নাসার এক গবেষক। এটা সেই ১৯৬০-এর দশকের কথা। তাঁর সেই গবেষণার তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগিয়েই পরবর্তীতে উদ্ভাবিত হয় মাউস।
শুকনো হিমায়িত খাবার
মহাকাশচারীদের খাবার শুরু থেকেই বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার একটি বড় কারণ ছিল। কারণ, মহাকাশের পরিবেশ পৃথিবীর মতো নয়। এ পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ করা খুবই কঠিন। তা ছাড়া পৃথিবীতে আমরা যেসব খাবার খাই, সেসব ওখানে পাঠানোও ব্যয়বহুল। এ সমস্যা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালিয়েছে নাসা। এর ফল হিসেবে তারা হিমায়িত করার মাধ্যমে যেকোনো খাবারকে শুকনো খাবারে পরিণত করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে। এ প্রযুক্তিতে খাবারের পুষ্টিগুণ ৯৮ শতাংশ বজায় থাকত। কিন্তু ওজন কমে হতো মাত্র ২০ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।