বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: গত ৬০ বছরের বেশি সময়ে পাঁচ শতাধিক লোক মহাকাশে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন মুসলিম নভোচারী রয়েছেন। মহাকাশে অবস্থানকালে অজু ও নামাজ পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকে জানতে চায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সৌদি আরবের নভোচারী আলি আল-কারনি।
গত রবিবার (২৮ মে) টুইটারে শেয়ার করা এক ভিডিওতে আল-কারনি বলেছেন, ‘মূলত মহাকাশে নভোচারীরা সব সময় ভাসমান থাকেন। তাই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় পা স্থির করে কিবলা নির্ধারণ করা হয়।’ এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) একটি লোহার টুকরো দেখিয়ে বলেন, ‘এর নিচে পা স্থির রেখে নামাজ পড়া হয়।’
অজু প্রসঙ্গে আল-কারনি জানান, মহাকাশ স্টেশনে বিশেষ ব্যাগে পানি রাখা হয়।
সেখান থেকে তা বুদবুদের মতো হয়ে বের হয়। অতঃপর বুদবুদগুলো একটি তোয়ালেতে একত্র করলে তাতে সিক্ততা তৈরি হয়। সেই ভেজা তোয়ালে দিয়ে শরীরের অঙ্গ মোছা হয়। মূলত মাসেহ পদ্ধতিতে অজুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ما بين تكبيرة وركعة وسجود .. كيف نصلي في الفضاء؟ 🕋
شرحتها لكم 👇🏻#نحو_الفضاءhttps://t.co/DzLTBZpaBi
This is how we get prepared and pray in space.#ksa2space
— Ali Alqarni (@AstroAli11) May 28, 2023
গত ২১ মে সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী রায়ানা বারনাভি এবং আলি আল-কারনি মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুধবার (৩১ মে) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ফিরে আসেন। মহাকাশে অবস্থানকালে সেখান থেকে পবিত্র মক্কা ও মদিনার উজ্জল দৃশ্য ধারণ করেন টুইটারে ভিডিও শেয়ার করেন নভোচারী রায়ানা বারনাভি। তা ছাড়া সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের দৃশ্য ধারণ করেন আলি আল-কারনি।
গত চার দশকে অনেক মুসলিম নভোচারী মহাকাশে গিয়েছেন।
তারা সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি নামাজ, রোজা ও কোরআন পড়েছেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম আরব ও মুসলিম নভোচারী হিসেবে সৌদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে যান। মহাকাশে অবস্থানকালে বিভিন্ন ইসলামী দায়িত্ব পালনের কথা তিনি তাঁর ‘সেভেন ডেইজ ইন স্পেস’ বইয়ে বর্ণনা করেছেন।
২০০৬ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত আনুশেহ আনসারি প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মহাকাশে যান। ২০০৭ সালে মহাকাশে রমজানের কয়েক দিন ও ঈদ উদযাপন করেন মালয়েশিয়ার নভোচারী শেখ মুসজাফর শাকর। ২০১৯ সালে আমিরাতের প্রথম নভোচারী হাজ্জা আল মানসুরি মহাকাশে যান।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির
ফিরে পাবে হারানো চোখের আলো, অসাড় মানবশরীরে সাড়া ফেরাতে নয়া যন্ত্র ইলনের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।