মহাকাশসংক্রান্ত নানা ধরনের গবেষণা করা হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস)। তাই এই স্টেশনে নিয়মিত বিরতিতে নভোচারীরা সফর করে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পরিচালনা করেন। তবে গবেষণার প্রয়োজনে বা বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে বাধ্য হন অনেক নভোচারী। এর ফলে নভোচারীদের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে।
নাসার বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, টানা ছয় মাস মহাকাশে জিরো গ্র্যাভিটি বা ওজনহীন অবস্থায় থাকার কারণে নভোচারীদের চোখের আকৃতি পরিবর্তন হতে পারে। শুধু তা–ই নয়, দীর্ঘ সময় ওজনহীন অবস্থায় থাকার কারণে শরীরের তরল স্থানান্তরিত হয়ে কখনো কখনো দৃষ্টিশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মহাকাশে দীর্ঘ মেয়াদে অবস্থান করলে নভোচারীদের অ্যাথেরোসক্লেরোসিস রোগের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়। এই রোগের কারণে ধমনিতে রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি হয়। নাসার ইমিউনোলজিস্ট ব্রায়ান ক্রুসিয়ান জানিয়েছেন, মহাকাশযাত্রার অনেক নেতিবাচক স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে। ওজনহীন অবস্থা, বিকিরণ বা বিচ্ছিন্নতা ও মানসিক চাপ নভোচারীদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। ইমিউন সিস্টেমও প্রভাবিত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীরা স্লিপ স্টেশন নামে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ঘুমান। স্লিপ স্টেশনটি আকারে একটি ফোন বুথের সমান। শুধু তা-ই নয়, নিজেদের শরীর স্থির রাখতে বিশেষ ধরনের স্লিপিং ব্যাগের ওপর ঘুমাতে হয় নভোচারীদের। শারীরিক এ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে নভোচারীদের শরীরের পেশি সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি হাড়েরও ক্ষতি হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।